মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার নব নিবার্চিত ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লিটন মিয়ার রিকাবী বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনী পড়–য়া মেয়ের বাল্য বিয়ে নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর তথ্য এবং কাউন্সিলর লিটন মিয়ার তথ্য ও পুলিশের দেওয়া তথ্য নিয়ে ধূমজাল সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, কাউন্সিলর লিটন মিয়ার দু্ই মেয়ে বড় মেয়ে একাদশ শ্রেনীতে পড়ে আর ছোট মেয়ে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। গত ৮ই মে শনিবার রাতে কাউন্সিলর লিটন মিয়ার নিজ বাড়িতে গায়ে হলুদ অনুষ্টান অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল ৯ই মে রবিবার বাদ জোহর বিয়ে সম্পূর্ন হওয়ার হয়। কাউন্সিলর লিটন মিয়ার বাড়িতে গেলে বাড়ি থেকে জানানো হয় তিনি পৌরসভায় আছেন। লিটন মিয়াকে মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি বলেন আমি নারায়নগঞ্জে আছি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় ২ মিনিটি পরেই তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন।
মেয়ের বিয়ের বিষয়ে প্রশ্ন করলে কাউন্সিলর লিটন মিয়া বলেন, মেয়ের বিয়ে ১৫ দিন আগে হয়ে গেছে। পরে কাউন্সিলর লিটন মিয়া সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে বিষয়টি সমঝোতা করার চেষ্টা করেন। পরে তার সাথে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আবার ফোন দিলে তিনি কথা পরিবর্তন করে বলেন, ১৫ দিন আগে বিয়ে হইছে।
তখন বললেন ১৫ দিন আগে ছোট মেয়ের বিয়ে হয়েছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন।
এলাকাবাসী ও নিধার্রিত এলাকার কাজীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে জানা যায় ১৫ দিন আগে কোন বিয়েই হয়নি। তাছাড়া এলাকাবাসী ও প্রতিবেশীদের তথ্য মতে কাউন্সিলর লিটন মিয়ার বড় মেয়ের বিয়েই হয়নি।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ আবুু বক্কর সিদ্দিক জানান, বিয়ে ২ দিন আগে হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে মুুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার এসিল্যাান্ড শেখ সাবেরিন জানায়, সঠিক তথ্য থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশের কথা আনুযায়ী তাদের কাছে এ বিয়ের তথ্য ছিলো। বিয়ে ২ দিন আগে কিংবা ১৫ দিন আগেই হউক তাহলে কেন বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলো না এমন প্রশ্নের জবাবে এসিল্যান্ড শেখ সাবেরিন বলেন, থানায় কথা বলে যথাযর্থ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, কাউন্সিলর ও পুলিশের তথ্যে গরমিল দেখা যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, পুলিশ সরজমিনে তথ্য যাচাই বা সংগ্রহে যায়নি। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার উপজেলা নিবার্হী অফিসার সাথে যোগাযোগ করলেও তিনি তেমন জোরালো পদক্ষেপ গ্রহন করেনি।
মিরকাদিম পৌর কাউন্সিলর ৬নং ওয়ার্ড মোঃ লিটন মোবাইল 01912402830, ছোট মেয়ে বিয়ে দেওয়ার কারন গোরপাক খাচ্ছে মানুষের মনে , ছোট মেয়েকে বাল্য বিবাহ দিতাছে রমজানে কাবিনশরা হইছে, আজ ২৮/৫/২০২১ তারিখে শুক্রবার মেয়েকে আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে দিচ্ছে, নাম স্রেনেহা আক্তার লুবনা, ক্লাস ৮ এ পরে রিকাবী বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে।
আপনার মতামত লিখুন :