মনিরুজ্জামান অপূর্ব,ঢাকা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য এখন আকর্ষণীয় স্থান। বিনিয়োগের জন্য সবধরনের পরিবেশ এখন বাংলাদেশে বিদ্যমান। বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের দিকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশতটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকগুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। বেশকিছু স্পেশাল ইকোনমিক জোনে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগকারী বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ননরেসিডেন্ট বাংলাদেশীরা(এনআরবি) বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ সরকার বেশকিছু আকর্ষনীয় সুযোগ-সুবিধার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সকল আনুষ্ঠানিকতা ওয়ান আমব্রেলা বা ওয়ান স্টপ সার্ভিস এর আওতায় দ্রুত এবং কম খরচে সম্পন্ন করা হচ্ছে। এখন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকতা সংক্ষিপ্ত ও সহজ করা হয়েছে। বোর্ড অফ ইনভেষ্টমেন্ট বিনিয়োগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের সাথে সমন্বয় সাধণ করছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ অনেক বেড়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী গত শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস এনজেলস এর সিলকন ভেলিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং লস এনেজলস্থ কনসাল জেনালের অফিসের সহযোগিতায় স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড আয়োজিত ”বাংলাদেশ দি নেক্সট ইনভেস্টমেন্ট ফ্রোন্টিয়ার” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্তানরত বাংলাদেশীরা দেশের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। আমি বিশ্বাস করি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি উজ্জল করতে এনআরবি’রা দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন সংগ্রাম করে বাংলাদেশ স্বাধীন করে গেছেন। আজ তাঁরই সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। বিশ্ববাসী এখন বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করছেন। বাংলাদেশে অনেক মেঘা প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাংলাদেশ নিজ খরচে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে পরিনত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনআরবিদের বাংলাদেশেল উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অবদান রাখার সুযোগ এসেছে।
বক্তব্য রাখেন-প্রফেসর কেভিন ই. গেলি, সেরফিয়া হালিম, প্রফেসর ডোরিয়ান লিপম্যান, বায়োস্কোপ ফিল্মস এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ হামিদ, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও টিনা জেবিন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস এনজেলস্থ কনসাল জেনারেল তারেক মোহাম্মদ, বাণিজ্য মন্ত্রীর সফরসঙ্গী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান, যুগ্ম-সচিব(রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক সোহেলী সাবরীন, বাংলাদেশ ই-কমার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শমি কায়সার, লস এনজেলস্থ বাংলাদেশের কমার্সেয়াল কান্সিলর এস এম খোরশিদ-উল-আলম, লস এনজেলস্থ বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেকনোলজি সেক্টরের ব্যবসায়ীনেতা এবং ননরেসিডেন্ট বাংলাদেশীগণ (এনআরবি)।
আপনার মতামত লিখুন :