• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন

মাত্র ৫ হাজার টাকায় ভাগ্য বদলে গেলো শার্শার সেতাই গ্রামের মৎস্য চাষি টুটুলের


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২৩, ৯:৪৪ অপরাহ্ন / ১৯
মাত্র ৫ হাজার টাকায় ভাগ্য বদলে গেলো শার্শার সেতাই গ্রামের মৎস্য চাষি টুটুলের

আজিজুল ইসলাম,শার্শা,যশোরঃ চাকরি না পেয়ে ২০০২ সালে মাত্র ৫ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন যশোরের শার্শা উপজেলার সেতার গ্রামের কামরুজ্জামান টুটুল । এতেই তার ভাগ্য বদলে যায়। অভাবনীয় সাফল্য আসে তার জীবনে।উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ ও অন্যান্য সহায়তায় প্রথম দিকে অল্প পরিসরে ও স্বল্প পুঁজিতে নিজস্ব একটি ছোট পুকুরে কার্প জাতীয় মাছ চাষ শুরু করেন টুটুল। তারপর থেকে টুটুলের আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সাফল্য এসেছে। বর্তমানে টুটুল প্রায় ৭.৬ হেক্টরের, জলায়তনে পাবদা মাছ চাষ করছেন। তার পুকুরে পাবদা মাছের পাশাপাশি রয়েছে রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়াসহ বেশ কয়েকটি জাতের মাছ।

এক সময় টুটুল ছিলেন বেকার। অনেক কষ্টে ধার-দেনা করে পাঁচ হাজার টাকা জোগাড় করেন। এ টাকা দিয়ে বগুড়া জেলার কাহালু থানা থেকে ১২ কেজি মাছের রেণু পোনা কিনে পুকুরে ছাড়েন। এসময় মৎস্য অফিসসহ বিভিন্ন এনজিওতে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাছ চাষে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। কাজের মধ্য দিয়ে সেই থেকে টুটুলের নতুন জীবনযাত্রা শুরু হয়। এতে তার সংসারে বাড়তি আয়ের ছোঁয়া লাগে পরিবর্তন আসে জীবনে।

তিনি পাবদা মাছ উৎপাদন করে গত ২০১৯ সাল থেকে তা বাণিজ্যিক ভাবে ভারতে রপ্তানি করছেন। ২০০২ সাল থেকে তিনি মৎস্য চাষ করে আসছেন। তার সাফল্য দেখে আশ পাশের ৫০ প্রতিবেশীও মৎস্য খামার গড়ে তুলতে উদ্যোগ শুরু করেছেন। শেষ বছর টুটলের খামার থেকে ১১৫টন পাবদা মাছ উৎপাদিত হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩কোটি টাকা।

কামুজ্জামান টুটুল বলেন, খুব সহজেই বেকাররা মৎস্য চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। তিনি আরও বলেন, বেকার যুবকদের মৎস্য খামার করায় উৎসাহ দিতে ব্যাংক গুলো সুদ মুক্ত ঋণ দিলে এ অঞ্চলের বেকার যুবকরা দ্রুত স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে। তিনি আশা করেন ব্যাংক গুলো এ ধরনের ঋণ সুবিধা চালু করে বেকারত্ব কমাতে সহযোগিতা করবে।

শার্শা উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, সফল মৎস্য খামারী কামরুজ্জামান টুটুল মাছ চাষের কারণে উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা পেয়েছেন। তিনি এই উপজেলায় মৎস্য চাষ করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। মৎস্য চাষে সফলতা অর্জনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তিনি। তিনি এবার জাতীয় মৎস্য পুরুষ্কার ২০২৩ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।