
নিজস্ব প্রতিবেদক, মাগুরাঃ মাগুরার শ্রীপুরে সামাজিক আধিপত্যের জেরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নাজমুল হোসেনের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় তার ভাই সাহেব আলী ও শিমুল শেখের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়৷ মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খড়িয়াড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী সরকারের পতনের পর উপজেলার খড়িবাড়িয়া গ্রামের উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নাজমুল হোসেনের সাথে একই গ্রামের বিএনপি নেতা মুকুল মাষ্টারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জেরে মঙ্গলবার রাতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নাজমুল হোসেন জানান, মুকুল, শহীদ ও রুবেলের নেতৃত্বে মঙ্গলবার রাতে আমার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় আমার বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়৷ আমার ঘর থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে যাই হামলাকারীরা। এ সময় তারা আমার ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট করে। শুধু তাই নয় আমার ভাই সাহেব আলী ও শিমুল শেখের বাড়িতেও তারা ভাঙচুর করে।
এ বিষয়ে মো. নাজমুল হোসেনের ছেলে শ্রীপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজ শাখার সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক হাবিব শেখ জানান, আমরা আওয়ামী লীগের সময় নির্যাতিত হয়েছি। এখনো নির্যাতিত। আমি দলীয় বিএনপির নেতাদের ও প্রশাসনের নিকট এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে রুবেল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নাজমুল হোসেন তার ছেলে হাবিব শেখ আমার চাচাকে মারতে ধাওয়া করে। এ সংবাদ পাওয়ার পর আমাদের লোকজন নাজমুল হোসেনের বাড়িতে গিয়েছিল। পরে চলে আসার পর শুনেছি কে বা কাহারা তার বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। এ বিষয়ে আমরা কোন কিছুই জানিন।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইদ্রিস আলী জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :