বিশেষ প্রতিনিধিঃ কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের পর মহাসড়ক ও ফেরিঘাটে বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে তীব্র যানজট দেখা গেছে। সকাল থেকেই পারাপারের অপেক্ষায় ঢাকা-খুলনা ও রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া অঞ্চলের ছয় শতাধিক যানবাহন। এর মধ্যে রয়েছে পশুবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস ও কাভার্ড ভ্যান।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলছে ১৫ ফেরি। তবে পদ্মার ভাঙনে দৌলতদিয়া ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় লঞ্চ চলাচল বিঘ্ন হচ্ছে। মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে যাত্রীদের স্বাভাবিক ভিড় রয়েছে। এ রুটে ১৭টি ফেরির মধ্যে চলাচল করছে ১১টি।
এদিকে, দীর্ঘদিন বন্ধের পর মহাসড়কে চলছে গণপরিবহন। সকাল থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদী অংশে বেড়েছে যান চলাচল। মহাসড়কের পাশে বাজার ও কাঁচামাল পরিবহনের কারণে তিনটি স্পটে কিছুটা ধীরগতি রয়েছে।
এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত যান চলাচল করছে ধীরগতিতে। এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও বেড়েছে গাড়ির চাপ।
উল্লেখ্য, দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তা প্রতিরোধে ১ জুলাই থেকে ৭ দিনের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরে ৫ জুলাই আরেক দফায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ ১৪ই জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ সময় জরুরি পন্য পরিবহণ ছাড়া সব ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন বন্ধ থাকে। এর পর ঈদ সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সরকার বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপণ জারি করে।
আপনার মতামত লিখুন :