• ঢাকা
  • সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ অপরাহ্ন

মহামান্য হাইকোর্টের আদেশে পাইকগাছার মধুমিতা পার্কের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হলেও হয়নি আওয়ামীলীগ কার্যালয় 


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৪, ৬:৪৬ অপরাহ্ন / ১৪
মহামান্য হাইকোর্টের আদেশে পাইকগাছার মধুমিতা পার্কের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হলেও হয়নি আওয়ামীলীগ কার্যালয় 

মানছুর রহমান জাহিদ, পাইকগাছা, খুলনাঃ উচ্চ আদালতের আদেশে খুলনার পাইকগাছায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন মধুমিতা পার্কের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হলেও উচ্ছেদ হয়নি আওয়ামী লীগ কার্যালয়।

জানা যায়, ১৯৮০ সালে পাইকগাছা পৌরসদরে মধুমিতা পার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। পার্কের চারপাশে নানা প্রকার গাছের চারা, ফুলের বাগান, বিনোদন ও বসার জন্য তৈরী করা হয় সুন্দর এক মনোরম পরিবেশ। কয়েক বছর যাবৎ সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ার সুযোগে ২০০৪ সালে এক শ্রেণির লোক পার্কের জায়গা অবৈধ দখল করে পাকা স্থাপনা করতে থাকে। যা বন্ধের দাবীতে সাংবাদিক জিএম মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক আব্দুল মজিদকে সদস্য সচীব করে গঠিত হয় মধুমিতা পার্ক সংরক্ষণ কমিটি। আর তখন থেকেই শুরু হয় আন্দোলন, সংগ্রাম ও বিভিন্ন দপ্তরে করা হয় অভিযোগ। তারপরও দখলবাজী বন্ধ না হওয়ায় সহকারি জর্জ আদালত পাইকগাছায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করা হয়। এবং বিজ্ঞ আদালত নির্মাণ কাজ বন্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। অথচ এ আদেশ অমান্য করে দোকানঘর নির্মান ও ব্যবসা অব্যাহত থাকলে সংরক্ষণ কমিটি ২০০৫ সালে মহামান্য হাইকোর্টে ৩৫৯০/০৫ রিট পিটিশন  করেন। মহামান্য হাইকোর্ট মামলাটির শুনানি অন্তে ২০০৫ সালের ২৪ মে মধুমিতা পার্কের অভ্যান্তরে অবৈধ নির্মান কাজ বন্ধ করার আদেশ প্রদান করেন। সে আদেশও অমান্য করায় আদেশ অমান্যকারীরদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে  ১০২/২২ কনটেম্ট পিটিশন করা হয়। শুনানি অন্তে গত ১৩ মার্চ মহামান্য হাইকোর্ট মামলার বিবাদীদেরকে ২০দিনের মধ্যে সকল অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ করে পার্কটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে আদেশ প্রদান করেন। সেটাও অমান্য করতে থাকায় পুনরায় আদালতকে বিষয়টি অবহিত করা হলে পুনঃ আদেশে ২০ মে ২০২৩ এ খুলনা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আল-আমিনের উপস্থিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। উচ্ছেদ করা হয় ৩০ টি পাকা স্হাপনা। কিন্তু দুই তলা বিশিষ্ট কয়েকটি কক্ষের আওয়ামীলীগ কার্যালয়টি থেকে যায় অক্ষত। যা আজও উচ্ছেদ করা হয়নি। যা উচ্ছেদের জোর দাবী উঠেছে।

পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহের নাজনীন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ ধরণের তেমন কিছু থাকলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।