• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন

ভোলার দৌলতখানে চার সন্তানের জননীকে ধর্ষন করলেন ১১ সন্তানের জনক!


প্রকাশের সময় : জুলাই ২০, ২০২১, ৪:০৩ অপরাহ্ন / ২৪৪
ভোলার দৌলতখানে চার সন্তানের জননীকে ধর্ষন করলেন ১১ সন্তানের জনক!

ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার দৌলতখানে চার সন্তানের জননী এক রিকশা চালকের স্ত্রীকে ধর্ষন করেছে ১১ সন্তানের এক লম্পট জনক। গত ৮ জুলাই পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের সৈয়াল বাড়ীতে এ ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেস্টা চলছে।

ধর্ষণের শিকার ওই নারী বলেন, আমার স্বামী একজন রিকশাচালক। রোজগারের জন্য প্রতিদিন রিকশা চালিয়ে গভীর রাতে বাড়ি ফেরেন। দরজা আটকে রাতে ঘুমিয়ে পড়লে স্বামী এসে অনেক সময় আমার ঘুমের কারণে দরজায় দাঁড়িয়ে থেকে বিরক্ত হয়ে যান। এ জন্য দরজার সিটকিনি না আটকে চাপ দিয়ে রাখতে স্বামী নির্দেশ ছিল। আর এ সুযোগ নিয়ে কয়েক দিন আগে রাত সাড়ে ১১টায় মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে মহসিন মাঝি (১১ সন্তানের জনক) দরজা খুলে ঘরে ঢুকে আমার মুখ চেপে রান্নাঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় সে এ ঘটনা কাউকে জানালে আমার সংসার ভেঙে দেয়া এমনকি জানে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। আমি লোকলজ্জা ও সংসার ভেঙে যাওয়ার ভয়ে এ ঘটনা কাউকে জানাতে পারিনি। কিন্তু মহসিন মাঝির ছেলে-মেয়েরাই এখন আমার বিরুদ্ধে চারিত্রিক কুৎসা রটাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চরিত্রহীন মহসিন মাঝি এলাকায় একজন লম্পট টাইপের ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত।

ভিক্টিমের স্বামী ফিরোজ সাংবাদিকদের জানান, ধর্ষক ও আমাদের বাড়ী পাশাপাশি হওয়ায় বখাটে মহসিন তার স্ত্রীর সরলতার সুযোগ নিয়ে তাঁকে বহুবার তার ভাড়ীতে ঢুকে ধর্ষন করেছে। লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি এতোদিন প্রকাশ করা হয়নি। অবশেষে আর সহ্য করতে না পেরে ঘটনাটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আলমগীর হোসেনকে জানান তিনি। গনমাধ্যম কর্মীরা জানতে পেরে এলাকায় গেলে সংবাদ প্রকাশ না করতে তাদেরকে প্রভাবশালীরা চাপ ও ম্যানেজের চেস্টা করেন বলে সেখানকার কতেক সাংবাদিক এ প্রতিবেদককে অবহিত করেছেন।

এ ব্যাপারে পৌর কাউন্সিলর মোঃআলমগীর হোসেন’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ধর্ষনের অভিযোগ আমি পেয়েছি। কিন্তু যারা এ ঘটনার স্বাক্ষী তারা এখন মূখ খুলছে না। ফলে ভিক্টিমের জন্য কিছুই করতে পারছি না।

এদিকে ধর্ষিতার পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ধর্ষক মহসিনকে রক্ষা করতে তার ছেলে আল আমিন’র নেতৃত্বে স্থানীয় একদল ক্যাডার ভিক্টিমকে হুমকি দিচ্ছে। মামলা কিম্বা গণমাধ্যমের কাছে মূখ খূললে তাদেরকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়।

অভিযুক্ত মহসিন মাঝির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ছেলে আল আমিন’র সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বাবাকে নিয়ে ঘটনাটি সাজানো ও ষড়যন্ত্রমূলক।

দৌলতখান থানার পূলিশ ইনচার্জ মোঃ বজলার রহমান বলেন, ধর্ষনের ঘটনায় মামলা নিয়েছি। অভিযুক্তকে খুব শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে।