• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন

ভোলার দুই সাংবাদিক নির্যাতনকারী স্বপন চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২৭, ২০২১, ২:৩০ অপরাহ্ন / ৩৭৬
ভোলার দুই সাংবাদিক নির্যাতনকারী স্বপন চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ভোলার দুই সাংবাদিক ফরিদুল ইসলাম ও দাউদ ইব্রাহীমের উপর বর্বরোচিত নির্যাতনকারী ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণদিঘলদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইফতারুল হাসান স্বপন চেয়ারম্যান, তার ভাই কামরুল হাসান মিলন ও নাজমুল হাসান বাচ্চুকে গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন সমাবেশ করেছে

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফাউন্ডেশন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফাউন্ডেশনের সহ -সভাপতি সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য এইচ এম জামাল উদ্দিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা এইচ এম আল আমিন, মহিলা বিষয়ক সমসাংবাদিক নেতা ইন্জিনিয়ার আল আমিন এম তাওহীদ,
প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারাদেশে একের পর এক সাংবাদিক নির্যাতনের স্বীকার হলেও সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে কোন বিচার না করায় সাংবাদিক নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে গত ৪/৮/২০২১ ইং তারিখে ভোলার দুই সাংবাদিক ফরিদুল ইসলাম ও দাউদ ইব্রাহিমকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইফতারুল হাসান স্বপন তার ভাই কামরুল হাসান মিলন ও নাজমুল হাসান বাচ্চু দিনভর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে ওই দুই সাংবাদিককে প্রায় দুই মাস জেল খাটায়।
সাংবাদিক ফরিদুল ইসলাম জেল থেকে বেরিয়ে অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনায় স্বপন চেয়ারম্যান তার ভাই মিলন ও বাচ্চুসহ ৫ জনকে আসামী করে ভোলার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলটি সি আইডি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অবিলম্বে স্বপন চেয়ারম্যান ও তার ভাইসহ সকল আসামীদের গ্রেফতার করে বিচার এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে করে দাবি জানান বক্তারা।

উল্লেখ্য, বিগত ১৫ বছর ধরে ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইফতারুল হাসান (স্বপন) তার ভাই কামরুল হাসান মিলন ও নাজমুল হাসান বাচ্চুর দুর্নীতি-অনিয়ম, জুলুম নিপীড়ন, লোভ ক্ষোভ ও নারী নির্যাতনের কাছে ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী হাজারো লোকজন জিম্মি হয়ে আছে। ক্ষমতার দাপটে কৃষক, শ্রমিক, দিন মজুর কেউই তাদের হিং¯্র থাবা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। চাকুরীর নামে অর্থ বাণিজ্য ও প্রতারণা, খায়ের হাট বাজারে জমি দখল, দক্ষিণ দিঘলদী/ বাংলাবাজারসহ পার্শবর্তী ইউনিয়নের জমি জবর দখল, বিভিন্ন চরে বিভিন্ন ব্যক্তিদের শত শত একর জমি জবর দখল, চরলতিফ/টেকরার চরে সরকারী ও মালিকানা জমির মাটি বিক্রি, বাঘমারাসহ বিভিন্ন চরে ঘাস বিক্রি, চরে টাকার বিনিময়ে গরু মহিষ পালন, বাঘমারা ও তেতুলিয়ার চরে জমি লগ্নী করে টাকা নিয়ে জমি না দেওয়া, অন্যের জমি দখল করে আইচ প্লান্ট ব্যবসা, নারী কেলেঙ্কারী, মাদক ব্যবসা, ভিজিডি ভিজিএফ এর চাল আত্মসাৎ, ক্ষমতার দাপট, বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও বাড়ীর পাশের লোকজন জিম্মি, ডিস ব্যাবসা নিয়ন্ত্রন, বাগদা চিংড়ি ও জাটকা/ মা ইলিশ পাচার, তেঁতুলিয়া নদীতে জলদস্যুতা ও চাইর ব্যবসা, পল্লী বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজী, বাংলাবাজার অটো রিকসা স্টান্ড /বোরাক থেকে চাঁদাবাজী, সরকারি গাছপালা নিধন, জলাশয় দখল, কোটি টাকা ব্যয় করে গরুর খামার নির্মাণ, সালিশ মীমাংশার নামে টাকা আদায়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে টাকা আদায়, টাকার বিনিময়ে জমির মালিকানা হস্তান্তর, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকার ইট, রড, সিমেন্ট নিয়ে টাকা না দেওয়া, টিউবয়েল দেওয়ার নামে অর্থ অত্মসাৎ, কাজের নামে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, তেঁতুলিয়া নদী থেকে বালু উত্তোলনের ব্যবসার মাধ্যমে কোটি টাকা কামিয়ে নেওয়া, সরকারি- বেসরকারি হাজার হাজার একর জমি জবর দখল, চাকুরী দেওয়ার নামে কোটি টাকা প্রতারণা, বিভিন্ন সেক্টর থেকে চাঁদাবাজী, মাদক ব্যবসা ও জলদস্যুতা নিয়ন্ত্রণ, ভিজিডি ভিজিএফ এর চাল আত্মসাৎ, সালিশ মীমাংশার নামে দু’পক্ষকে জিম্মি করে মোটা অংকের টাকা আদায় এবং বিভিন্ন তরুণীদের চাকুরী দেওয়ার নামে জিম্মি করে তাদের সাথে যৌন মেলামেশা ও আমোদ প্রমোদসহ এমন কোন ছোট অপরাধও নেই যা তারা করেন না। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তাই মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন স্বপন চেয়ারম্যান তার ভাই কামরুল হাসান মিলন ও নাজমুল হাসান বাচ্চুকে দ্রুত গ্রেফতার করে জনগণকে তাদের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি দিন।