এম রাসেল সরকারঃ ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজ বাহিনীর নির্যাতনের হাত থেকে প্রানে বাচঁতে প্রবাসে জীবন কাটাচ্ছে তেজগাও কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক, দৈনিক সরেজমিন বার্তা পত্রিকার সাংবাদিক নুরে আলম পারভেজ ও তার পরিবার। আজিজের ভাতিজা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সাইফুল ও ছালেমের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে দীর্ঘ দশ বছর ধরে ঘরবাড়ী ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এই ছাত্রনেতা ও তার পরিবারের সদস্যরা।
অপরাধ একটাই পরিবারটি বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত। পারভেজ পেশায় একজন সাংবাদিক। শুধু সন্ত্রাসী হামলাই নয়, বরং বিএনপি পন্থি এই পরিবারের সকল সদস্যের নামেই মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের নিকট থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে কাতার প্রবাসী পারভেজের মেজ ভাই জানে আলম ছুটিতে বাড়ী আসলে তার নামেও মিথ্যা মামলা দিয়ে বিদেশ যাওয়া আটকে দেয় আজিজ বাহিনী। শুধু তাই নয় পারভেজের ছোট ভাই এমরান ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা হওয়ায় তার নামে রয়েছে একাধিক মামলা এলাকা ছাড়া।
পারভেজের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম (টানা ১৫ বছর যুবদল করা নেতা) প্রবাসে জীবন কাটাচ্ছে, ভয়ে বাড়ি ছাড়া। পারভেজের মা ২০১৪ সালে মারা যায়, আজিজ বাহিনীর ভয়ে তার রেখে যাওয়া চার ছেলের একজনেরও মায়ের মুখ দেখার সুযোগ পায়নি। ভোলার সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের নির্দেশ আজিজ ও সাইফুল বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলায় শিকার দাবী করেন সাংবাদিক পারভেজের পরিবার। এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেতারা বেগমের স্বামী জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজের ভাতিজা ওই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সাইফুল তার সহযোগি ছালেম, আলাউদ্দিন, সামিরুল ও বাহারুলকে নিয়ে জোড়পূর্বক দৈনিক সরেজমিন জাতীয় পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সাবেক ছাত্রদল নেতা নুরে আলম পারভেজের গ্রামের বাড়ীর গাছপালা জোড়পূর্বক কেটে নিয়ে যায়। এসময় পারভেজের বাবা হানিফ বয়াতী সাইফুল গ্রুপকে বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর করে এবং পারভেজের দুই ভাই এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও মারধর করে। এঘটনায় স্থানীয় মেম্বার ফজলুর রহমান ও মিলন মেম্বার সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন।
কিন্তু ঘটনাটি আজিজ জানার পর মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার নতুন নাটক শুরু করেন। মীমাংসার জন্য শালিশ বৈঠকে বসে। তবে শালিশের মাঝপথে সাইফুল গ্রুপ বুঝতে পারে তারা বিচারে হেরে যাবে। তাই তারা আজিজের নির্দেশে শালিস বৈঠক ছেড়ে চলে আসে যায়। এঘটনার দুইদিন পর আজিজের সহযোগিতায় সন্ত্রাসী সাইফুল তার সিন্ডিকেটের সদস্য আলাউদ্দিনের নামে একটি ভূয়া মেডিকেল রিপোর্ট সংগ্রহ করে আলাউদ্দিনকে বাদী সাজিয়ে সাংবাদিক পারভেজের বাবা ও দুই ভাইয়ের নামে ভোলা আদালতে মামলা দায়ে করে।
আজিজ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে সাংবাদিক পারভেজের বাবা ও দুই ভাইকে একাধিক জেল খাঠায়। পাশাপাশি পারভেজের পরিবারের কাছে বিভিন্ন মাধ্যমে দশ লাখ টাকা উৎকোচ দাবী করে আজিজ। টাকা পেলে নির্যাতন বন্ধ করা হবে এবং পারভেজ যেন এলাকায় ঢুকতে না পারে সেই ব্যাপারে রেড এলার্ট জারি করে রাখে। কয়েক দিন পর পরই পারভেজের বাড়ীতে রাতের বেলা আজিজের ক্যাডাররা হামলা করে ভয়ভীতি প্রর্দশন করে এবং মহিলাদের সাথে অশালীন আচরন করেন।
পারভেজের বড় ভাইয়ের নামে মামলা দিয়ে তার প্রবাসী জীবন শেষ করে দিয়েছে। গত ১০/১২বছর যাবৎ পারভেজ ও তার ভাইয়েরা আজিজের ভয়ে বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আজিজ বাহিনীর ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর নির্ভর করছে সাংবাদিক পারভেজের পরিবার জীবন যাপন। পারভেজ এর বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা হুমকি ধামকির কারণে সাংবাদিক নুরে আলম পারভেজ দুবাই চলে গেলেও দেশ তার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
তার বৃদ্ধ বাবা ও ছোট বোন শুধুমাত্র বোবার মতোর বাড়ীতে থাকতে হচ্ছে। যে কোন সময় আজিজ বাহিনীর ভয়ানক হামলার দুশ্চিন্তা মাথা নিয়েই তাদের বেঁচে থাকতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগি তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক নুরে আলম পারভেজ বলেন, তার পরিবার বিএনপির রাজনীতিকে ভালোবাসেন। এটাই তাদের অপরাধ। যেকারনে বিগত ১০/১২ বছর ধরে তার পরিবারের উপর আজিজ বাহিনী এমন অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। এসব বিষয়ে ভোলা সদর থানায় একাধিক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও কোন প্রতিকার পাইনি।
তৎকালীন থানার ওসি হুমকি ধামকি দিয়ে পরবর্তীতে মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে দিয়েছে। বিএনপির নাম মুখে নিয়ে ওই এলাকায় কেউ থাকতে পারে না। তোফায়েল আহমেদের নির্দেশে আজিজরা ভোলা সদর উপজেলাকে বিএনপি মুক্ত করে রেখেছে। আজিজ বাহিনীর এসব নির্যাতনে আমাদের ৪০/৪৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।