খুলনা অফিসঃ ভুয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬।
র্যাব-৬ গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে একটি প্রতারক চক্র র্দীঘদিন যাবত ভিন্ন ভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করে এবং বিভিন্ন নামে (আলিফ এন্টারপ্রাইজ, খান জাহান এন্টারপ্রাইজ, আলম এন্টারপ্রাইজ ইত্যাদি) ভুয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাগেরহাট, খুলনা, যশোর, শরীয়তপুর, নোয়াখালী, পিরোজপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের নিকট হতে কয়লা বিক্রির কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এই চক্রের মূলহোতা মোঃ আব্দুল আলী ফকির নিজেকে উক্ত ভুয়া প্রতিষ্ঠান সমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পরিচয় প্রদান করে প্রতারণার উদ্দেশ্যে স্বল্পকালীন সময়ের জন্য কোন ভবন অফিসের জন্য ভাড়া নিয়ে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ভিজিটিং কার্ড তৈরী করে। ওই চক্রটি দীর্ঘ সময় ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীদের প্রতারিত করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে।
উক্ত চক্রের মূলহোতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরিচয় প্রদানকারী মোঃ আব্দুল আলী ফকির ও তার সহযোগীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে এবং প্রায় শতাধিক মোবাইল সীমকার্ড ব্যবহার করায় তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা অনেকটা দূরূহ হয়ে পড়ে। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে র্যাব-৬ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং প্রতারক চক্রটি গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানাধীন চক্রাখালী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত প্রতারক চক্রের মূলহোতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরিচয় প্রদানকারী মোঃ আব্দুল আলী ফকির(৫০), থানা-ফকিরহাট, জেলা-বাগেরহাট ও তার সহযোগী মোঃ হারুন হাওলাদার(৬২), থানা-ঝালকাঠি সদর, জেলা-ঝালকাঠি, ৩। মোঃ আরিফ (৪২), থানা-চিতলমারি, জেলা-বাগেহাটদেরকে গ্রেফতার করে।
আসামীদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক প্রতারণার মামলা রয়েছে এবং মূলহোতা আব্দুল আলী ফকিরের নামে প্রতারণার মামলায় একাধিক গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে বাগেরহাট জেলার রামপাল থানায় হস্তান্তর করার কাজ প্রক্রয়াধীন।
(ছবিঃ তৈয়ব আলী পর্বত,খুলনা)