ঢাকা : করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ঝুঁকি কমাতে দেশে বুস্টার ডোজের কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ড. জাহিদ মালেক। প্রাথমিক ভাবে ফাইজারের টিকা দিয়ে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যারা অন্য টিকা নিয়েছেন তারাও ফাইজারের টিকা বুস্টার ডোজ হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন।
প্রথমদিনে ১৭ জন প্রবীণ নাগরিককে দিয়ে শুরু হয়েছে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম। প্রথম ব্যক্তি হিসেবে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা। রোববার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে বুস্টার ডোজ দেওয়ার মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী কে এম আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেন।
এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বুস্টার নেন। ফ্রন্টলাইনার হিসেবে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন পুলিশের এক সদস্য, একজন সাংবাদিক ও একজন ডাক্তার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, টিকার ফলে দেশ নিরাপদে আছে। মৃত্যুর সংখ্যা এক ডিজিটেই আছে। গতকাল এক শতাংশেরও নিচে এসেছে। এত জনবহুল দেশে খুবই বিরল একটি বিষয়। সবার সহযোগিতায় আমরা কাজটি করে যাচ্ছি। প্রতিটি মানুষকেই যারা প্রাপ্য টিকা দেব। তিনি বলেন, বুস্টার ডোজ সংক্রান্ত সুরক্ষা অ্যাপের আপডেট কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি। তবে এই মুহূর্তে টিকা কার্ডের মাধ্যমে চলবে। একইসঙ্গে স্বাভাবিক টিকা কার্যক্রমও চলমান থাকবে।