• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন

বিবাহ বিচ্ছেদ জোড়া লাগাতে গরুর মাংস ঘুষ নিলেন মেম্বর : পুলিশে অভিযোগ ভুক্তভোগীর


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২৭, ২০২৩, ১০:৩৩ অপরাহ্ন / ১৩১
বিবাহ বিচ্ছেদ জোড়া লাগাতে গরুর মাংস ঘুষ নিলেন মেম্বর : পুলিশে অভিযোগ ভুক্তভোগীর

আজিজুল ইসলাম, যশোরঃ যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের এক মেম্বর ও স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে টাকার সাথে গরুর মাংস ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।

অভিযোগ পত্রে জানা যায়, শার্শা উপজেলার ইছাপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে তহমিনা খাতুনের সাথে একই উপজেলার বসতপুর ১ নং কলোনীর মৃত কবীর হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমানের সাথে ১০ মাস পূর্বে বিয়ে হয়। ৩ মাস সংসার করার পর বনিবনা না হওয়ায় তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

এর কিছুদিন পর মিজানুর পুনরায় তাহমিনা কর
নিয়ে সংসার করার ইচ্ছা প্রকাশ করে এবং তাহমিনার নিকট বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। তাহমিনা রাজি হলে বসতপুর গ্রামের আলী ডাক্তার ও মালেক মেম্বর সামাজিক শুদ্ধিকরণের কথা বলে তাহমিনার নিকট ৭ কেজি গরুর মাংস ও টাকা দাবী করে। সেইমত তাহমিনা নগদ ১৫ শত টাকা ও বিকাশের মাধ্যমে ( যার নম্বর – ০১৭৫৮-৯৩২৭৬০) ২৫শত টাকা আলী ডাক্তারের কাছে প্রদান করেন।

পরবর্তীতে তহমিনা তাদের বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে ইউপি সদস্য আঃ মালেক ও ডাঃ আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তারা বিভিন্ন তালবাহনা শুরু করে। এমনকি গালিগালাজ করা সহ ও তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখেন। শেষমেশ তাহমিনা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ বিচার দাবী করেছেন।

এ বিষয়ে আলী ডাঃ কে মুঠোফোন জিজ্ঞাস করলে তিনি বলেন, হ্যাঁ আমরা টাকা ও মাংস নিছি তাতে সমস্যা কি? ঐ মহিলা বিবাহ বিচ্ছেদ হলে শলিশে বৈঠাকে তার স্বামীর কাছ থেকে আশি হাজার টাকা নেয়। কিন্তু পরবর্তীতে সে আবার স্বামীর ঘরে ফেরার জন্য আমার ও মালেক মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা খরচ খচ্চার জন্য তার কাছ থেকে ৭কেজি গরুর মাংস ও টাকা নিই যা দিয়ে খেচুরি রান্না করে খেয়েছি, এমন টাকা কেন নিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন তাদের জোড়া লাগাবো তাই আমাদের ছেলে পিলে আছে তাদের তো খরচ খচ্ছা লাগে।

ইউপি সদস্য আব্দুল মালেকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে জড়িত না, তাছাড়া এ বিষয়ে কিছুই জানি না। তবে ঐ মহিলার কাছ থেকে আলী ডাঃ মাংস ও টাকা নিয়েছে সেটা আমাকে ফোন করে জানিয়েছিল তাছাড়া তার সাথে আর কোন কথা হয়নি।

এ বিষয়ে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।