
বিশেষ প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশে শীতের প্রকোপে মাঘ মাসে বাঘ পালানোর গল্প প্রচলন এক সময় থাকলেও, এ বছরে মাঘের মাঝামাঝিতেই শীতের অনুভব কমতে শুরু করেছে। ১৫ মাঘ থেকে তাপমাত্রার পারদ বেশ ওপরে। শীতের শুরুতে তাপমাত্রা কমতে থাকলেও তা ক্ষণস্থায়ী ছিলো। এখনো সারাদেশে প্রচলিত তীব্র শীতের দেখা মেলেনি।
চলতি মৌসুমে শীত, তার প্রকৃত চরিত্র নিয়ে এলেও পৌষ মাসের শেষ দশকে এসে শীতের চরিত্র দেখা যায়নি। ফেব্রুয়ারী প্রথম তারিখ থেকেই অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজমান, অনুভব হচ্ছে না শীতের। বাইরে মানুষের চলাচল শীতের পোশাকের চেয়ে স্বাভাবিক পোশাকে দেখা যাচ্ছে বেশি, তবে সন্ধার পরে কিছুটা শীতের আমেজ এখনো রয়ে গেছে।হাড়হীম করা শীতের তীব্রতা এ বছর দেখা মেলেনি। তবে পশ্চিমাঞ্চলে কিছুদিন কুয়াশা ঘেরা অবস্থায় থাকলেও শীতের অনুভব অনেকটাই স্বাভাবিক।বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারনে প্রকৃতি বিরূপ আচরণ করছে বলেও মন্তব্য করেন অনেকেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এবারের মৌসুমে শুরুর দিকে শীতের কামড় অনুভূত হলেও তা শীতের স্বাভাবিক চরিত্র নয়। কুয়াশা কমে যাওয়া ও দিনের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণ দেশের অধিকাংশ জায়গায় শীতের অনুভূতি খুবই কম। যদিও দেশের উত্তরাঞ্চলে বিচ্ছিন্ন ভাবে শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও এ বছর এখনো তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসেনি।
চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত তাপমাত্রা নেমেছে সর্বনিম্ন ৭ ডিগ্রিতে। সর্বশেষ ফেব্রুয়ারী থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। এরমধ্যে উত্তরাঞ্চলে বিচ্ছিন্ন ভাবে শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে, তবে শীতের স্থায়িত্ব গতো বছরের তুলনায় অনেকটা কম হবে।
আপনার মতামত লিখুন :