এম রাসেল সরকার,ঢাকাঃ রাজধানীতে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর গণ-অবস্থান কর্মসূচির কারণে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ। অপ্রীতিকর ঘটনা ও নাশকতা ঠেকাতে তারা মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছেন।
বুধবার বেলা ১১টা শুরু হওয়া বিএনপির এ কর্মসূচি চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। বিএনপির কর্মসূচি চলাকালীন পর্যন্ত পুলিশের বাড়তি মোতায়েন থাকবে বলে জানা গেছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে রাজধানীর মগবাজার, মতিঝিল, নয়াপল্টন, পুরানা পল্টন, বিজয়নগর ও শান্তিনগর এলাকায় পুলিশকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
রাজধানীর ওয়াশপুরের মাদ্রাসা মোড়, মোহাম্মদপুরের আল্লাহ করিম মসজিদের বিপরীত দিকে, শ্যামলী ওভারব্রিজের পাশে, গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকা, যাত্রাবাড়ী মোড়, মুগদা বিশ্বরোড, মানিকনগর বিশ্বরোড, ফার্মগেটের তেজগাঁও গার্লস স্কুলের ফুটপাত, উত্তরা হাউজ বিল্ডিং, রামপুরা মোড়, নতুন বাজার, শাহবাগ, পল্টন মোড় ছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে সকাল থেকে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।
মগবাজারেও সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মূলত আজকের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করেই তারা মাঠে ডিউটি করছেন। তারা বলছেন, জন-অবস্থানের নামে যাতে কেউ কোনো প্রকার অরাজকতা ও নাশকতা করতে না পারে তার জন্য সতর্ক রয়েছেন তারা।
ঢাকায় আজ বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েক হাজার পুলিশ সদস্য সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। এ ব্যাপারে তাদের কঠোর নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে সম্প্রতি মৌচাকে পুলিশের ওপর হামলার যে ঘটনা ঘটে তারপর থেকে পুলিশ আরও সতর্ক হয়েছে বলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে আজকের গণজমায়েত নিয়ে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাতে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে বলেছি তারা যেন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে যানবাহন চলাচলে কোনো ধরনের বাধা তৈরি করা যাবে না। এ ব্যাপারে কোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটলে তার দায়ভার সেই রাজনৈতিক দলের।
সকাল থেকে নগরীতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা বা ধরপাকড়ের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঢাকার রাস্তাগুলোতে ব্যস্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। মোড়ে মোড়ে থাকা প্রতি সিগনালে গাড়ির জটও দেখা গেছে।
আজকে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচিতেও জনমনে তেমন কোনো আতঙ্ক নেই। গত ১০ তারিখের মতো কোনো প্রকার অঘটন ছাড়াই আজকের দিনটিও শেষ হবে বলে মনে করছেন বেশির ভাগ মানুষ। রাজনৈতিক কর্মসূচি কোনো প্রভাব ফেলেনি নগরবাসীর প্রত্যাহিক কাজে।
আপনার মতামত লিখুন :