• ঢাকা
  • শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৯ অপরাহ্ন

বিআরটিসির সুযোগ্য চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের দক্ষ নেতৃত্বে স্বর্নযুগ পার করছে বিআরটিসি


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৭, ২০২৪, ৮:১৯ অপরাহ্ন / ৭৯
বিআরটিসির সুযোগ্য চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের দক্ষ নেতৃত্বে স্বর্নযুগ পার করছে বিআরটিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বিআরটিসির সুযোগ্য চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের দক্ষ নেতৃত্বে বর্তমানে স্বর্নযুগ পার করছে বিআরটিসি।

বিআরটিসিতে এখন চলছে স্বর্নযুগ। প্রায় ৩ বছর পূর্বে নিয়োগ পেয়ে অতিরিক্ত সচিব মোঃ তাজুল ইসলাম যখন বিআরটিসিতে আসেন তখন এই করপোরেশন প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে। অতিরিক্ত সচিব থেকে তাজুল ইসলাম গ্রেড-১ কর্মকর্তা হয়েছেন। তিনি করপোরেশনে ফিরিয়ে এনেছেন স্বর্ণযুগ।

বিআরটিসির দায়দেনা পরিশোধ প্রায় শেষের পথে। লাভজনক বিআরটিসি এখন নিজেরাই নতুন গাড়ী তৈরি করবে নিজস্ব কারখানায়। লোকসানে ডুবতে বসা বিআরটিসি অনেক বড় স্বপ্ন দেখছে এখন । অর্থ সাশ্রয়ের নানান উদ্যোগের পর এবার গাড়ী তৈরির সকল কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। দেশের সড়কেই চলবে বিআরটিসির তৈরি করা গাড়ী। মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন পেলেই গাড়ী নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)।

২০১২ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া গাজীপুরের সমন্বিত কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানা পুনরায় চালু করা হয়েছে। পুরনো মেশিনারিজ পরিবর্তন করে নতুন মেশিনারিজ সরঞ্জামযুক্ত কারখানায় তৈরি করা হবে নতুন গাড়ী।

ঢাকার তেজগাঁওয়ের কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানা আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এসব কারখানার কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে বিআরটিসির নিজস্ব কারখানায়, নিজস্ব কর্মীদের দিয়ে বাস তৈরির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। লোকসানে থাকা রাষ্ট্রীয় পরিবহন করপোরেন প্রতিষ্ঠানটি মাত্র ৩ বছরে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে শুধু মাত্র বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলামের দক্ষতা আর বিচক্ষনতার কারনে।

বিদেশ থেকে আনা যন্ত্রাংশের (চেসিস) ওপর ভিত্তি করে নিজস্ব কারখানায় বাস তৈরি করবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। বিদেশ থেকে কেনা বাসে নির্ভর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিআরটিসির নিজস্ব কারখানায় তৈরি বাসে সাশ্রয় হবে ৪০ শতাংশ অর্থ। আমদানি করা পরিবহনের চেয়ে নিজেদের তৈরি করা পরিবহন গুলো টেকসই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম।

ডুবন্ত বিআরটিসি মাত্র ৩ বছরে ঘুরে দাঁড়ানোর নেপথ্যে কারিগর বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম। ২০২১ সালে লোকসানের মুখে বন্ধ হওয়ার পথে ওই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারী বিআরটিসির দায়িত্ব নিয়ে বর্তমানে মাসিক আয় প্রায় ২ কোটি টাকার উপরে রয়েছে। শত কোটি টাকার বকেয়ায় জর্জরিত রাষ্ট্রীয় পরিবহন প্রতিষ্ঠান বিআরটিসি এ পর্যন্ত প্রায় ৯৬ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছে।

অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে ডুবতে থাকা প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দাঁড়ানো গল্পের নায়ক মোঃ তাজুল ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই আলাদিনের চেরাগের ছোঁয়ায় যেন বদলে যায় বিআরটিসির চিত্র। অনিয়মের বেড়াজালে ভর করা বিআরটিসি এখন ব্যয় মিটিয়ে আয় করছে কোটি টাকা।

নিজস্ব কারখানায় তৈরি করা দুটি বাস বিমানবন্দরের শাটল রুটে ব্যবহার করা হচ্ছে। ৩০-৪০ জন যাত্রী একটি বাসে ভ্রমণ করতে পারবেন। যাত্রীদের লাগেজ রাখার জন্য বাসে সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

বর্তমানে বিআরটিসির বহরে যাত্রীবাহী বাস রয়েছে এক হাজার ৩৫০টি। যা সুইডেন, জাপান, চীন, কোরিয়া ও ভারতের মতো দেশ থেকে কেনা হয়েছে। এখন নতুন করে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাসে (সিএনজি) চালিত ৩৫০টি এবং ভারত থেকে ১০০টি বিদ্যুৎ চালিত বাস কেনার প্রক্রিয়া চলছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) গত তিন বছরে লোকসানী প্রতিষ্ঠানের বদনাম থেকে বের হয়ে এখন লাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

মোঃ তাজুল ইসলাম বিআরটিসির চেয়ারম্যান হিসেব যোগদানের সময় বিআরটিসি’র বহরে সচল বাসের সংখ্যা ছিল মাত্র ৯০০টি এবং ট্রাক ছিলো প্রায় ৫০০টি। যোগদানের পর তিনি বিআরটিসির পড়ে থাকা অচল ৩১০টি গাড়ি মেরামত করে চলাচল উপযোগী করে তোলেন। যে কারনে মাত্র ২ দিনের মধ্যে ছাদখোলা বাস তৈরি করে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধণা দেওয়া সম্ভব হয়েছে, এতে বিআরটিসির সক্ষমতার স্বাক্ষর রেখেছে এবং সর্বমহলে বিআরটিসি প্রশংসিত হয়েছে।

সারাদেশে বিআরটিসির ২২টি বাস ডিপো, ২টি ট্রাক ডিপো, ২টি যানবাহন মেরামত কারখানা, ৪টি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও ২০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে আসছে।

বিআরটিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বকেয়া, সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি, ছুটি নগদায়নের দায়-দেনার পরিমাণ ২০২১ সালের পূর্বে ছিলো ১০১ কোটি ২০ লাখ টাকা। ২০২১ সালের পর নিজস্ব আয় হতে প্রায় ৬৬ কোটি টাকা দায়-দেনা পরিশোধ করা হয়েছে। বর্তমানে বিআরটিসির সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা কর্পোরেশনের নিজস্ব আয় হতে প্রতি মাসের এক (১) তারিখে এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি তিন (৩) মাস অন্তর অন্তর গ্র্যাচুইটি, সিপিএফ ও ছুটি নগদায়নের টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে।

সব কিছু মিলিয়ে বর্তমানে স্বর্গযুগ পার করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)।