নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম যোগদানের পর থেকে বিআরটিসির দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছেন। তিনি বিআরটিসিকে স্বচ্ছ, জবাবদিহি মুলক, দুর্নীতিমুক্ত একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠানে রুপ দিয়েছে।
তিনি যোগদানের পর ২০২১ সালের পূর্বে সকল ডিপোতে নতুন গাড়ি থাকা সত্বেও ৬ থেকে ১২ মাসের বেতন ভাতা বকেয়া ছিলো। যা তিনি পরিশোধ করার পাশাপাশি ধারাবাহিকতা বজায় রেখে যাচ্ছেন নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে। বর্তমান জুলাই মাসে দেশের ছাত্র জনতার যৌক্তিক দাবী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যেও সকল ডিপো ইউনিটে বেতন ভাতা পরিশোধ করে হাজারো কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মুখে হাসি ফুটিয়েছেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম।
তিনিই প্রথম বিআরটিসিতে আয় বৃদ্ধি ব্যয় সংকোচন এবং যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন শ্লোগানটি প্রতিষ্ঠিত করেছেন। যাত্রীসেবা ও পন্য পরিবহন সেবার মান বাড়িয়েছেন কয়েক গুন এবং স্বাধীনতার পর তিনিই প্রথম বিআরটিসিকে লাভের মুখ দেখিয়েছেন।
তিনি যোগদানের পর মাসের ১ তারিখে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) সকল ইউনিট ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একযোগে বেতনের নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন। এতে করে বিআরটিসিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুন। মোঃ তাজুল ইসলাম বিআরটিসিতে যোগদানের পর দীর্ঘ ১৮ বছর পর শ্রান্তি বিনোদন ভাতা চালু করেছেন। যা ভূয়সী প্রশংসার দাবিদার।
বিআরটিসির কোন কর্মচারী বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না। এই শ্লোগানকে সামনে রেখে তিনি গড়ে তুলেছেন কল্যাণ তহবিল নীতিমালা। যার মাধ্যমে বর্তমানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিকিৎসা ভাতা প্রদান করা হয়। এছাড়াও বিআরটিসির কোন কর্মচারী হঠাৎ মারা গেলে তার পরিবারকে তাৎক্ষনিক ভাবে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া হয়। যা বিআরটিসির ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। এর পুর্বে বিআরটিসির কোন চেয়ারম্যান শ্রমিকদের এ বিষয় গুলো কখনো ভেবেই দেখেননি। যা আগের তুলনায় অনেক গুন বেশী।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের সময় কোন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এখন তাদের পাওনা টাকার জন্য দফতরে দফতরে ঘোরাঘুরি করতে হয় না। কাউকে ধর্না দিতে হয় না। তারা অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ঘরে বসে তাদের পাওনা টাকা হাতে পেয়ে যায়। যা তারা কখনো কল্পনাও করতে পারেনি। এটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে মোঃ তাজুল ইসলামের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কারনে।
অকারণে কোন অর্থ ব্যয় করিনি, মোঃ তাজুল ইসলামের এই উক্তিটির সত্যতা প্রমাণিত হয়। প্রধান কার্যালয়সহ সকল ডিপোতে উন্নয়ন ও সংস্কারমূলক এবং কর্মপরিবেশ বান্ধব অফিস কক্ষ, প্রশিক্ষণ হলরুম, ডিপো গুলির প্রধান ফটক তৈরিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজের মাধ্যমে। যেটা বিআরটিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতীতে কখনো কল্পনাও করতে পারেনি।
এছাড়াও মোঃ তাজুল ইসলাম আধুনিক বিআরটিসি তৈরির লক্ষ্যে সকল রুটের সমস্ত গাড়িতে বিটিএস প্রযুক্তি ব্যবহার, প্রধান কার্যালয়সহ বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলোতে দক্ষ আইটি সেক্টর এবং সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সকল ডিপোতে সিসি ক্যামেরা সংযোগ স্থাপন করেছেন নিজস্ব উদ্যোগে।
মোঃ তাজুল ইসলাম বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের পূর্বের দুর্বল মেরামত সেকশনকে আমুল পরিবর্তন করেছেন। তিনি বিআরটিসিতে যোগদানের পর দীর্ঘকালের বন্ধ থাকা সমন্বিত কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানা আইসিডব্লিউএস গাজীপুর পুনরায় চালু করে একটি আধুনিক, দক্ষ ও শক্তিশালী মেরামত কারখানায় পরিণত করেছেন।
মোঃ তাজুল ইসলাম বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনে যোগদানে পর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দীর্ঘকালের বন্ধ থাকা পদোন্নতি প্রক্রিয়া চালু করেছেন।
এছাড়াও বিআরটিসিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ গুলোতে আগে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের জনবল নিয়োগ হতো না। অদক্ষ লোক দিয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো। সেই সাথে জনবলের ঘাটতি তো ছিলই। মোঃ তাজুল ইসলাম বিআরটিসিতে যোগদান করার পর থেকেই বিআরটিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্বচ্ছ নিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির অপারেশন, কারিগরি এবং দাপ্তরিক বিভিন্ন পদ গুলোতে মেধাবী দক্ষ ও যোগ্য জনবল নিয়োগ দিয়েছেন। গড়ে তুলেছেন পরিবেশ বান্ধব কর্মক্ষেত্র।
বিআরটিসির ইতিহাসে এই প্রথম তিনি বজ্রকণ্ঠে হুশিয়ারি দিয়েছেন। অনিয়ম ও দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে বিআরটিসিকে মানসম্মত সেবা ও টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে বিআরটিসিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী সচেষ্ট থাকবো ইনশাআল্লাহ্।
ডুবতে বসেছে বিআরটিসি এমন সংবাদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তলাবিহীন ঝুড়ি দূর্নীতির আতুর ঘর নামক রুগ্ন বিআরটিসিকে ঢেলে সাজিয়েছেন এবং লাভ জনক প্রতিষ্ঠানে রুপ দিয়েছেন তিনি। যা দেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকাসহ ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সেসবের উন্নয়নের চিত্র ফুটে উঠেছে।
সর্বোপরি বিআরটিসিকে একটি আধুনিক, দক্ষ, শক্তিশালী ও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে দাঁড় করিয়েছেন বিআরটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম।