নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বিআরটিসিতে সঠিক ভাবে দ্বায়িত্ব পালনকারী এক কর্মকর্তার নাম মোঃ জামিল হোসেন। বতর্মানে তিনি বিআরটিসির বরিশাল বাস ডিপোর ম্যানেজার অপারেশন হিসেবে কর্মরত আছেন। দিনকে দিন বরিশালে তার সুনাম সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা যায়।
ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর। ছাত্র-জনতার বিজয়ের পরে ছাত্র-ছাত্রীরা দাবি তুললে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ঘোষণা দেন বরিশালে শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০ শতাংশ ভাড়া কমানোর। বর্তমানে বিআরটিসি বাসে ৩০ শতাংশ কম ভাড়ায় যাতায়াত করতে পারবেন বরিশালের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
গত ১৫ আগস্ট থেকে এ সুবিধা কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল বাস ডিপোর ম্যানেজার অপারেশন মোঃ জামিল হোসেন। তিনি জানান, বরিশাল বিআরটিসি টার্মিনাল থেকে সকল শিক্ষার্থী আইডি কার্ড দেখালে ৩০ শতাংশ ভাড়া মওকুফের সুবিধা পাবেন। বরিশাল থেকে দেশের যে কোনো গন্তব্যে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে বরিশাল ডিপোর বাসগুলো এ সুবিধা দেবে।
বর্তমানে দেশে ক্রান্তিকাল চলমান থাকায় যাত্রী সংকট চলছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছেন। দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ এ সুবিধা অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে। গত ১৪ আগস্ট বিআরটিসির বরিশাল বাস ডিপো ম্যানেজারের সঙ্গে বৈঠক করে এই দাবি তোলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সুজয় শুভ বলেন, বরিশাল বিআরটিসির ডিপো ম্যানেজারের আহ্বানে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়। এ সময় যাত্রী হয়রানি বন্ধ করে সেবার মান আরও বৃদ্ধিসহ শিক্ষার্থীদের ভাড়ার কিছু অংশ মওকুফের দাবি করা হয়। তিনি বলেন, বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি মেনে নিয়ে চাঁদাবাজি ও যাত্রী হয়রানি বন্ধে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
এরআগে বিআরটিসি খুলনা বাস ডিপো ম্যানেজার হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালনের আগেও বরিশালে দায়িত্ব পালন করেন মোঃ জামিল হোসেন। পরবর্তীতে খুলনায় বদলি করা হয় একজন সৎ, দক্ষ কর্মকর্তা মোঃ জামিল হোসেনকে। খুলনা বাস ডিপোতে থাকাকালীন সময়ে অসংখ্য অন্যায় আবদার পুরন না করায় একটি কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন উপ সচিব কামরুল ইসলাম। দুর্নীতির বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো মেজর আলিমুর রহমান, ইএমই, জেনারেল ম্যানেজার (টেকনিক্যাল) কে। বলা হয়েছিলো তদন্ত সাপেক্ষে ১৫ দিনের মধ্যে মতামত দাখিল করতে। এ সৎ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার অনিয়মের তথ্য পায়নি তদন্ত কর্মকর্তারা। যাহা বিগত ১০ নভেম্বর ২০২০ তারিখে ২০৮৭ নাম্বার স্বারকে মোঃ কামরুল ইসলাম উপ সচিব কে অবহিত করেন বিআরটিসির জেনারেল ম্যানেজার। মোঃ জামিল হোসেন বরিশাল বাস ডিপো ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকাকালীন সেখানেও নানা সফলতার গল্প পাওয়া যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিআরটিসির অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি চেস্টা করছেন বিআরটিসিকে ঢেলে সাজাতে। তবে বসে নেই বিআরটিসির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভুয়া বা ফেক ফেসবুক পেজে নানাবিধ মিথ্যা গল্প কাহিনী সাজিয়ে প্রচার করে থাকেন। সফলতার বিআরটিসিকে তারা নানা ভাবে কলুশিত করার মিশনে রয়েছে কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তাদের দৌড়াত্ম এখন বিআরটিসির সর্বত্র।
বিআরটিসিতে কর্মরত বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জানায়, বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম দ্বায়িত্ব নেয়ার পর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বিআরটিসিকে। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে সফলতার গল্প এখন শুধু বিআরটিসির।
আপনার মতামত লিখুন :