• ঢাকা
  • শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫১ অপরাহ্ন

বার কাউন্সিলের ভুয়া সনদ বিক্রির মাস্টারমাইন্ড সহকারী পরিচালক জলিল!


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৪, ২০২৪, ৪:৫২ অপরাহ্ন / ২৪
বার কাউন্সিলের ভুয়া সনদ বিক্রির মাস্টারমাইন্ড সহকারী পরিচালক জলিল!

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বার কাউন্সিলের প্রশ্ন পত্র ও ফাঁস জাল সনদ বিক্রি করে শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন বার কাউন্সিলের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।

সম্প্রতি ভুয়া সনদ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। জাল সনদ বিক্রির সিন্ডিকেটের অনুসন্ধানে অন্যতম সহযোগী হিসাবে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সহকারী পরিচালক আব্দুর জলিলের নাম। যার সনদ বিক্রি প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ বার কাউন্সিলে বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে অসংখ্য অবৈধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এসব অবৈধ কর্মকান্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড আব্দুল জলিল। তার গুরুতর অপরাধ ও অবৈধ সম্পদের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক কার্যালয়ে অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা হওয়া একটি অভিযোগের কপি সংবাদ মাধ্যমের হাতে এসে পৌঁছেছে।

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকারের অন্যতম দোসর আব্দুর জলিল। বার কাউন্সিলের প্রশ্নপত্র ফাঁস, নিয়োগ বাণিজ্য, ভুয়া সনদ বিক্রি সহ এমন অসংখ্য অপরাধের মাস্টারমাইন্ড জলিল আইন বিরোধী অবৈধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে রাজধানীতে নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন প্লট, ফ্ল্যাট, দামি বিলাসবহুল গাড়িসহ শত কোটি টাকার সম্পদের পাহাড়।

সূত্র জানায়, বার কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ন পদে থেকে নিয়োগ বানিজ্য এবং সরকারি চাকুরী জীবনে উৎকর্ষ গ্রহন, দুর্নীতি, জ্ঞাতবর্হিভূত আয় ও চরমভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন দুর্নীতিবাজ ও আইন ভঙ্গকারী বার কাউন্সিলের এই কর্মকর্তা।
গুরুতর অভিযোগ উঠা মোঃ আব্দুল জলিল, সহকারী পরিচালক, বার কাউন্সিল ভবন, ঢাকা। তিনি দীর্ঘ ২০ বছরের বেশি সময় ধরে বার কাউন্সিলের বিভিন্ন নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত ছিলেন। উক্ত প্রক্রিয়ায় জড়িত থেকে তিনি বিভিন্ন সময় নিয়োগ বানিজ্য এবং সরকারি চাকুরী জীবনে উৎকষ গ্রহন, দুর্নীতি, জ্ঞাতবর্হিভূত আয় ও ক্ষমতার অপব্যবহারে মাধ্যমে বিপুল পরিমান অর্থের মালিক হয়েছেন। যাহার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঢাকায় দক্ষিন বনশ্রী, ব্লক-ই, রামপুরায় ২২০০ স্কয়ারফিটের ২টি নান্দনিক ফ্ল্যাট, ব্যক্তিগত ৩টি প্রাইভেট (প্রিমিও, এক্স করোলা ও একটি জিপ), তাহার গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলায় একটি ডুপলেক্স বাড়ি, ২০ বিঘার উপর নালি জমি, বিদেশে মালেয়েশিয়ায় নিজের নামে ১টি এবং তার মেয়ের নামে একটি ফ্ল্যাট এছাড়াও নামে বেনামে আরো প্রায় ৩০০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। এছাড়াও তার নিজ ও পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে একাউন্ট খোলে বিপুল পরিমান অর্থ জমা রেখেছেন। যা তদন্ত পূর্বক বের হয়ে আসবে। তদন্তের করে তার ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করলেই তার সকল অপরাধ ও অবৈধ অর্থের সন্ধান বেরিয়ে আসবে।

সম্প্রতি এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার পদোন্নতির জন্য সচিবালয়ে ফাইল উত্থাপন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বার কাউন্সিলর একটি বিশ্বস্ত সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, সম্প্রতি বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করার জন্য অসংখ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করা হয়েছিল যেই ঘুষের টাকা সিন্ডিকেটের আরেকজন সদস্য বিচারপতির কাছে গচ্ছিত রাখা হয়েছিল। ওই বিচারপতি মারা যাওয়ার পর ঘুষের অর্থ রিকভারি করার জন্য বিচারপতির খিলগাঁও এর বাসা থেকে ব্যবহৃত জিপ গাড়ি জোর করে নিয়ে আসেন আব্দুল জলিল। ঘুষের টাকা রিকভারির জন্য এমন কান্ড বার কাউন্সিলের সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের দাবি বার কাউন্সিলের মত রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে সহকারি পরিচালক আব্দুল জলিলের মতো আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে কাজ করা ভয়াবহ দুর্নীতিবাজকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি তার অবৈধ অর্জিত সকল সম্পদ বা জব্দ করার।