• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ১০:২০ পূর্বাহ্ন

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় কেউই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মাল্যদান করেনি


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২১, ২০২৩, ১০:৪৬ অপরাহ্ন / ২০
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় কেউই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মাল্যদান করেনি

কলি আক্তার, মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাটঃ শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩ এ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এবার কেউ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়নি। পরিত্যাক্ত ঘোষণা না হলেও ৪০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই শহীদ মিনারটিকে পরিত্যাক্ত রেখে শহীদদের স্মরণে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়েছে উপজেলা পরিষদ চত্বরে নব নির্মিত শহীদ মিনারে। এ ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এমদাদুল হক বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা হয়নি। তবে, উপজেলা পরিষদের সভায় নতুন শহীদ মিনারে মাল্যদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. আখতারুজ্জামান ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ)সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নীল রতন মিস্ত্রী বলেন, ২১ শে ফেব্রæয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে জানতে পারি সেখানে মাল্যদান হবেনা। পরে আমরা উপজেলা পরিষদ চত্বরের নতুন শহীদ মিনারে যাই। এটা একটা বিতর্কীত কাজ হয়েছে।

বিষয়টি দুঃখজনক উল্লেখ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা নীল রতন মিস্ত্রী আরও বলেন, এটাও শহীদ মিনার। নতুনটিও শহীদ মিনার। এখানে(কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার) অন্তত একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে একটা মালা পাঠানো উচিত ছিল। উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক রিপন বলেন, এমন দুঃখজনক ঘটনা কেন ঘটল তা জানা দরকার। এ ছাড়াও স্থানীয়রা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নাম উল্লেখে কিছু বলতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম তারেক সুলতান বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। উপজেলা পরিষদের সভায় নতুন শহীদ মিনার উদ্বোধন ও সেখানে মাল্যদানের সিদ্ধা হয়। সে অনুযায়ী নতুন শহীদ মিনারে মাল্যদান করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কেন শ্রদ্ধা নিবেদন করা হলোনা, এটা কি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাববে নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ওই শহীদ মিনার সম্পর্কে আমি জানিনা। সভায় কোন আলোচনা হয়নি। আমার কিছু জানাও নেই বলে ছাফ জানিয়ে দিলেও দিবসটি পালনের জন্য গত ১৭ ফেব্রæয়ারি নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত অনুষ্ঠিত্ব প্রস্তুতিমূলক সভার ৫নং কর্মসূচিতে পৌরপার্কে অবস্থিত শহীদ মিনারটিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে।