নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী নিবাসে দুই শিক্ষার্থীকে র্যা গিংয়ের ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ৭ জন সাংবাদিক হামলা ও লাঞ্ছনার শিকার হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা (জেএসএস)'র কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। হামলার সঙ্গে জড়িত দুই শিক্ষক ও অন্যান্যদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করার জোর দাবি জানান জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা (জেএসএস)'এর নেতৃবৃন্দরা। সোমবার (২৮ আগস্ট) এক বিবৃতিতে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা (জেএসএস)'এর নেতৃবৃন্দরা এ দাবি জানান।
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী গত বুধবার রাতে ছাত্রলীগ নেত্রীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হন দুই ছাত্রী। শনিবার নির্যাতিত দুই ছাত্রীর জবানবন্দী নিচ্ছিলেন কর্তৃপক্ষ। এ সময় বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক নির্যাতিত ছাত্রী ও তাঁদের মায়ের বক্তব্য নিতে যান। তখন কয়েকজন শিক্ষক সন্ত্রাসী কায়দায় তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা দিয়ে লাঞ্ছিত করেন । টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরাও ভাঙচুর করেন হামলাকারীরা। লাঞ্ছিত সাংবাদিকেরা হচ্ছেন, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের কাওসার হোসেন রানা ও রুহুল আমিন, এশিয়ান টিভির ফিরোজ মোস্তফা ও আজিম, সময় টিভির শাকিল মাহমুদ ও সুমন হাসান এবং বাংলা নিউজের মুশফিক সৌরভ।
বিবৃতিতে জেএসএস'এর নেতারা বলেন, মেডিকেল কলেজে শিক্ষকতা যারা করেন তারা চিকিৎসার মতো মহান ও মানবিক পেশায় নিয়োজিত। তাদের কাছে মানবিকতা, ধৈর্য ও সংযম প্রত্যাশিত। সাংবাদিক ও চিকৎসকরা বরাবরই সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া সংবাদকর্মীদের সঙ্গে দু’জন শিক্ষক যে আচরণ করেছেন তা দেখে আমরা বিস্মিত ও স্তম্ভিত। হামলার ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দুই চিকিৎসকের মারমুখি ও সন্ত্রাসী আচরণ দেখে বুঝতে কষ্ট হয়, তাঁরা শিক্ষার্থীদের কী শেখাচ্ছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কাউকে দৈহিকভাবে আঘাত করা এবং পেশাগত কাজে বাধা দেওয়া ফৌজদারি অপরাধ। এ অপরাধে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরী।
এদিকে পৃথক এক বিবৃতিতে ৭ জন সাংবাদিকের ওপর অতর্কিত হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বরিশাল বিভাগ ও জেলা শাখার জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সকল নেতৃবৃন্দ পাশাপাশি এই নেক্যারজনক ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত দোষীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।