• ঢাকা
  • শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ অপরাহ্ন

বগুড়ার ধুনটে মন্দিরের কাজ দেড় বছর ধরে বন্ধ করে ঠিকাদার উধাও


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৮, ২০২৩, ১২:১০ পূর্বাহ্ন / ৭২
বগুড়ার ধুনটে মন্দিরের কাজ দেড় বছর ধরে বন্ধ করে ঠিকাদার উধাও

নিজস্ব প্রতিবেদক,বগুড়াঃ বগুড়ার ধুনটে কেন্দ্রীয় বারোদুয়ারী রাধা-গোবিন্দ মন্দিরের নির্মান কাজ বন্ধ রেখে ঠিকাদার উধাও, প্রায় দেড় বছর ধরে মন্দিরের কাজ বন্ধ রাখায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়েরা পূজা ও প্রার্থনাসহ ধর্মীয় নানা কাজ থেকে বঞ্চিত রয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ীরা। স্থানীয় মন্দির কমিটির পক্ষে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একাধিক অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার মেলেনি বারোদুয়ারী রাধা- গোবিন্দ মন্দির নির্মাণ কাজের।

মন্দির কমিটি জানান, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে সারাদেশে হিন্দু (সনাতন ) ধর্মাবলম্বীদের  মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৯ -২০ অর্থ বছরে ধুনট কেন্দ্রীয় বারোদুয়ারী রাধা-গোবিন্দ মন্দিরের আট তালা নির্মান কাজের জন্য ৯ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মন্দির নির্মান কাজ শেষ করার জন্য বগুড়ার জনৈক ঠিকাদার শফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

মন্দির কমিটির সভাপতি পলান চন্দ্র দাস জানান, ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম গত ২০২১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কাজটি শুরু করেন। তিনি নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে গ্রেডবিম পর্যন্ত কাজ করে । কাজের গুনগত মান নিয়ে মন্দির কমিটির লোকজন প্রতিবাদ করায় ঠিকাদার ২০২১ সালেই নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়ে প্রকল্প এলাকা ত্যাগ করেছেন।

ধুনট উপজেলা হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা উৎযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক গোবিন্দ কুমার ঘোষ বলেন, ঠিকাদার প্রায় দেড় বছর আগে মন্দির নির্মান কাজ বন্ধ করে উধাও হয়েছে। আমরা মন্দিরের নির্মান কাজটি সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর একাধিক অভিযোগ দিয়ে কোন প্রতিকার পাইনি।

তিনি আরো বলেন,  মন্দির নির্মান সম্পন্ন না হওয়ায় আমাদের পূজা প্রার্থনা সহ ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি পালনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঠিকাদার শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের অসৎ আচরনের কারনে আমি মন্দিরের নির্মান কাজ বন্ধ করে রেখেছি। এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাষ্টের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহাদ খান মন্দির নির্মান কাজ বন্ধ রাখার কথা স্বীকার করে বলেন, ঠিকাদার ও মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে কাজটি তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করা চেষ্টা করা হচ্ছে।