খোরশেদ আলম : যশোরের শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের অসহায় দিনমজুর ফজলুর রহমানের, অন্তস্বত্বা মেজো মেয়ে সোনিয়া খাতুনের মাতৃত্ব কালীন সময়ের যাবতীয় দায় দায়িত্ব গ্রহন করেছেন শার্শা উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ।
শার্শা থানা পুলিশের প্রতিনিধি বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ মাহমুদ আল ফরিদ ভুইয়া। শনিবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ন’টায় সার্বিক সহযোগিতা দিতে দীন মজুর ফজলুর রহমানের বাড়ীতে আসেন। এসময় সেখানে স্থানীয় মেম্বর হবিবর রহমান, শহীদ কাজী, সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম সহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। তিনি পরিবারের সাথে কথা বলেন ও পুলিশের তত্বাবধানে সোনিয়াকে শারিরীক পরিক্ষার জন্য কলারোয়ার গয়ড়া বাজারে রমজান ডাক্তারের ক্লিনিকে নিয়ে যান। তিনি জানান, সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এ পর্যন্ত পরিবারটি সাত হাজার টাকার মত আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন। আরও পেতে পারেন সেজন্য পুলিশের পক্ষে আমরা মেয়েটির পাশে দাড়িয়েছি এবং তার সন্তান ভুমিষ্ট হওয়া পর্যন্ত তার সার্বিক সহযোগিতা ও ব্যয়ভার আমরা বহন করবো।
উল্লেখ গত বুধবার (৭ জুলাই) “আকাশ ভেঙে মাথায়” শিরোনামে ফেসবুক পেজে একটি ষ্ট্যাটাস দেয়ার পরে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।এবং বিভিন্ন লোকজন ফজলুর পরিবারের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন। সর্বশেষ বিষয়টি শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলিফ রেজার দৃষ্টিগোচর হলে, তিনি পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন। এবং শার্শা থানা পুলিশ সোনিয়ার মাতৃত্বকালীন সময়ের সর্বিক দায়ীত্ব গ্রহন করেন। পয়সার অভাবে ফজলু তার সন্তান সম্ভবা মেয়েকে সিজার করানোর জন্য ডাক্তার বাড়ী নিয়ে যেতে পারছিলেন না।
একটি অসহায় পরিবারের অন্তস্বত্বা মেয়ের ব্যায়ভার গ্রহন করায় শার্শা পুলিশের প্রতি এলাকাবাসী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :