মনিরুজ্জামান অপূর্ব/বেলাল দেওয়ান,ঢাকা :বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গৃহকর্মী সাপ্লাইয়ের নামে অভিনব কৌশলের প্রতারণার ফাঁদ পেতে নগরীর বাসাবাড়িতে চুরি ঘটনার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গৃহকর্মী দারা কোন বাসাবাড়িতে চুরির ঘটনার পর গৃহকর্তীকরা নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি করে থাকেন। আবার অনেক বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে এড়িয়ে যান। কিন্তু সামপ্রতিক রাজধানী রামপুরায় একটি বাসাবাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। পরে রামপুরা থানায় গৃহকর্মী দ্বারা একটি চুরির মালা হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি গোয়েন্দা পুলিশের নজরে আসে। সেই মামলার সূত্র ধরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আজিমুল হক মামলাটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার নাদিয়া ইসলামকে তদন্তের দ্বায়িত্ব দেন। তদন্ত কর্মকর্তা নাদিয় ইসলামের একটি চৌকস টিম গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার বাউরতলা এলাকা থেকে গৃহকর্মী নুপুরকে গ্রেফতার করে। সেসময় তার কাছ থেকে চুরি হওয়া স্বর্ণালংকার ও নগত টাকা উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। আজ দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিংকালে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোঃ মাহবুব আলম বলেন, একটি অসাধু চক্র ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাসা বাড়িতে গৃহকর্মীর ছদ্মবেশে তাদের লোকদের নিয়োগ করে। পরবর্তী সময়ে সুযোগ বুঝে তাদের পাঠানো গৃহকর্মী ওই বাসার স্বর্ণলংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। এ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। গৃহকর্মীদের কাজে নিয়োগের পূর্বে তার জাতীয় পরিচয় পত্র সংগ্রহ, তার বাড়ির ঠিকানা নিশ্চিত হতে হবে। প্রয়োজনে থানা পুলিশের সহায়তা নেয়া এবং তার তথ্য পুলিশের সিআইএমএস-এ অন্তর্ভূক্তির জন্য সম্মানিত মহানগরবাসীকে অনুরোধ করেন গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আপনার মতামত লিখুন :