নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইসলামী ফাউন্ডেশন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার ফিল্ড সুপার ভাইজার ও মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সদস্য সচিব খন্দকার লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মডেল মসজিদের মুয়াজ্জিন, খাদেম ও কেন্দ্র শিক্ষকদের মধ্যে কয়েকজনের কাছে অবৈধ লেনদেনের প্রস্তাব দেওয়ায় তারা তা অস্বীকার করলে তাদেরকে চাকুরীচ্যুত করার হুমকি দেয় এবং স্থানীয় মুসল্লিদের সাথে অসদাচরণ করে চলেছে।

এছাড়াও মডেল মসজিদের মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের বিরুদ্ধে অসঙ্গত, ভিত্তিহীন, হয়রানিমূলক ও মিথ্যা তুচ্ছ অভিযোগ দাখিল করেন। নানা অনিয়মে অভিযুক্ত ফিল্ড সুপার ভাইজার খন্দকার লুৎফর রহমান অতি সম্প্রতি মুকসুদপুর উপজেলার নগর সুন্দরদী মাদ্রাসার নিরীহ এক ইমাম ও ওই কেন্দ্রের শিক্ষক (নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন) হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ ওয়ালীউল্লাহকে গভীর ষড়যন্ত্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন জনকে দিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে অন্যায়ভাবে তাকে ওই মাদ্রাসা থেকে চাকুরী চ্যুত করতে বাধ্য করেন।

এ বিষয়ে বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার, দৈনিক জনবাণী ও দৈনিক যুগের সাথী সহ একাধিক পত্রপত্রিকায় ও অনলাইনে নিউজ প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ফিল্ড সুপার ভাইজারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোন ব্যবস্থা নেননি।

অপরদিকে, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ফিল্ড সুপারভাইজার খন্দকার লুৎফর রহমান তার বিরুদ্ধে নিউজ করার জেরে গণমাধ্যমকর্মী কে এম সাইফুর রহমান ও ভুক্তভোগী ইমামের বিরুদ্ধে মুকসুদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ফিল্ড সুপারভাইজার পদে দায়িত্ব পালনকালেও তিনি তার অপকর্মের জন্য স্থানীয়দের চাপে সেখান থেকে মুকসুদপুর উপজেলায় বদলি নেন। টুঙ্গিপাড়ায় বাড়ি ইসলামী ফাউন্ডেশনে কর্মরত এক কর্মকর্তা ও ঢাকায় ইসলামী ফাউন্ডেশনের কতিপয় কর্মকর্তাদের সাথে সুসম্পর্ক থাকার সুবাদে তিনি এ ধরনের অপকর্ম করেও পার পেয়ে যান।

সম্প্রতি গত ২২ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখে অভিযুক্ত ফিল্ড সুপারভাইজার খন্দকার লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক, মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রেসক্লাব, গোপালগঞ্জ বরাবর প্রায় ৪০ জন ভুক্তভোগীর স্বাক্ষর যুক্ত একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জেরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রভাবশালীদের দিয়ে তাদেরকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা মহোদয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিকট তাকে সরকারি চাকুরি থেকে দ্রুত অব্যহতি ও তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা না নিলে ভুক্তভোগীরা ও স্থানীয় মুসল্লিরা সম্মিলিতভাবে তাকে ওখান থেকে বিতাড়িত করবেন বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুকসুদপুর উপজেলা ফিল্ড সুপারভাইজার, মুকসুদপুর মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সদস্য সচিব খন্দকার লুৎফর রহমানের সাথে মুঠোফোনে (০১৭.... ৫০৩) যোগাযোগ করে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগকারীদেরকে আওয়ামী লীগের নেতা দিয়ে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ছুটিতে বাড়িতে আছি, আমি আসি আপনাদের সাথে বসবো। আমার বিরুদ্ধে তারা কাল্পনিক অভিযোগ দিয়েছে। আমি ইউএনও স্যারের সাথে একসময় বসি। আমি রোববারে ফিরবো বলে জানান। আপনার কর্মকান্ড যদি ভালই হবে তাহলে আপনার বিরুদ্ধে এতগুলো লোক কেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করবেন জানতে চাইলে তিনি কৌশলে তা এড়িয়ে যান।