নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন বিভাগ এখন করাপশনের ত্রিমুখী জুটি। বর্তমান ফায়ার সার্ভিসের অসংখ্য সফলতা থাকলেও সদর দপ্তরের ঘটিকয়েক অসাধু ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারণে গোটা অধিদপ্তর এমনকি সরকারের উন্নয়নকে কলুষিত করছে। এদের মধ্যে এডি ওয়ারহাউজ আনোয়ার হোসেন এবং ইন্সপেক্টর দিদারুল ও ইউডি তৈয়ব মিলে ত্রিমুখী দুর্নীতিবাজ সক্রিয় সিন্ডিকেট সকলের কাছে ওপেন সিক্রেট হলেও তাদের অসাধুস সব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বহাল তবিয়াতে।
এই ত্রিমুখী জুটির মধুর সম্পর্ক ও সক্রিয় সহযোগিতায় নিরবে চলছে দূর্নীতির মহোৎসব। দীর্ঘদিন ওয়ারহাউজ শাখায় কাজ করে আসছেন ইন্সপেক্টর দিদারুল ও আনোয়ার হোসেন। বিভিন্ন সময় এই দুজনের নামে দুনীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও যেন দেখার কেউ নেই। তারা ত্রিমুখী জুটি স্ব স্ব চেয়ারে রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, ইন্সপেক্টর দিদারুলের মাধ্যমেই মূলত ডিরেক্টর অপারেশন তার সকল অপকর্ম চালিয়ে থাকেন। অধিদপ্তরের ডিরেক্টর অপারেশন নিজের স্বার্থ রক্ষার্থেই এই সিন্ডিকেটের মধুর জুটি ভাঙ্গতে চাচ্ছেন না।
সুত্র ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীর প্রধান কাজ হচ্ছে অপারেশনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া ও দেশের সাধারণ জনগণের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু তিনি তার আসল কাজ রেখে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন- সেফটি প্ল্যান ও বহুতল ভবনের ছাড়পত্র নিয়ে। কারণ ওখানে প্রতিদিন তার লাখ লাখ টাকা অবৈধ আয় রয়েছে। সিটি গেটের এসব অপকর্মের সার্বিক সহযোগিতা করেন উক্ত শাখার ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর দিদারুল। প্রত্যেকটি ফায়ার রিপোর্টে ৫% কমিশন নিয়ে থাকেন লেঃ কর্নেল তাজুল ইসলাম। কমিশন না দিলে তার নানান ধরনের অজুহাতে ঘুরতে ঘুরতে জীবন শেষ।
এ বিষয় একাধিক ভুক্তভুগী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বহুতল ভবনের ছাড়পত্র ও সেফটি প্ল্যান পেতে হলে ২০ ফুট রাস্তা লাগে ও ০২ টি সিড়ি থাকতে হবে । টাকা হলে কিছুই লাগে না। টাকা না দিলে কারেকশনের নামে হতে হয় হয়রানি।
এছাড়া ও সরকারী বিধি মোতাবেক তিনি ০১ পাওয়ার কথা থাকলেও তিনি ২ টি গাড়ি ব্যবহার করেন। অতিরিক্ত ০১ টি তিনি জোড় পূর্বক ব্যবহার করছেন। ০২টি গাড়ী ব্যবহার করেন এর মধ্যে ০১ টি গাড়ী তার স্ত্রী সারাক্ষণ নিজের কাজে ব্যবহার করেন। সরকারী বাবুর্চি/সুইপার তিনি বিধি মোতাবেক পান না। অন্যায়ভাবে ০২ জন লোক তার ব্যক্তিগত বাসায় সারাক্ষণ নিয়োজিত রাখেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফায়ার সার্ভিসের একাধিক সূত্র জানায়, অগ্নিকান্ডের সময় লেঃ কর্নেল তাজুল ইসলাম গাড়ীর ড্রাইভিং সিটে আরামে বসে থাকেন সেটা অনেকের কাছেই হাস্যকার। অগ্নি নির্বাপন শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসে শুধুমাত্র ক্রেডিট নেন। অথচ ওই অভিযানে তিনি কোন ভূমিকাই পালন করেন না। বিধি মোতাবেক তিনি গাড়ী পান সরকারী কাজের জন্য ১টি তিনি জোড় পূর্বক ২টি গাড়ী ব্যবহার করেন। এর মধ্যে ১টি গাড়ী তার স্ত্রী সারাক্ষণ নিজের কাজে ব্যবহার করেন। সরকারী বাবুর্চি/সুইপার তিনি বিধি মোতাবেক পান না। অন্যায়ভাবে ০২ জন লোক তার ব্যক্তিগত বাসায় সারাক্ষণ নিয়োজিত রাখেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফায়ার সার্ভিসের একটি সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বড় বড় ইঞ্জিনিয়ারদের ডেকে আনেন তিনি। তাদের নকশা ভুল ধরেন অফিসে ডেকে এনে দাড় করিয়ে রেখে নানাভাবে অপমান করেন অপমান করে থাকেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফায়ার সার্ভিসের একধিক সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানায়, আপারেশনাল কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের সেফটি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা মূলত তার কাজ, তিনি ব্যস্ত থাকেন বহুতল ভবন, সেফটি প্ল্যান, ফায়ার রিপোর্টার নিয়ে তার নিজের দাপ্তরি কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অপরিপক্কতার কারণে দেশের প্রায় ফায়ার স্টেশন নানান রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি স্টেশনের অপারেশনাল কর্মকান্ডের দিকে না তাকানোর কারণে ডেলিভারী হোজ, ফায়ার স্যুট, গামবুট, হেলমেট, ব্রাঞ্জ পাইপ সংকটে ভোগছে পুরো ফায়ার সার্ভিস। এই সংকট সাধারণ মানুষের সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের বড় বাধা হিসেবে দাড়িয়েছে।
এসব বিষয়ে মন্তব্য জানতে তাজুল ইসলাম ইসলাম এবং আনোয়ার হোসেনের মুঠোফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তারা রিসিভ করেননি।