নিজস্ব প্রতিবেদক,ফরিদপুরঃ ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ানের বিরুদ্ধে গোপনে বিয়ে করে , বিয়ের তথ্য লুকিয়ে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায় ফরিদপুর শহরের রথখোলা নিবাসী মোহাম্মদ আজাদের মেয়ে রওনক ফারিয়াকে ২০১৪ সালে বিয়ে করে রিয়ান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে যে বিবাহিত কেউই ছাত্রলীগ করতে পারবেনা । বাংলাদেশে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে ৫ এর (গ) ধারা অনুযায়ী বিবাহিত ব্যক্তি ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পাবে না। অথচ বিবাহিত রিয়ান নিয়মবহির্ভূত ভাবে ছাত্রলীগ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শুধু তাই নয়, রিয়ানের আপন দুলাভাই জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু। অভিযোগ রয়েছে দুলাভাইয়ের যোগশাজশে তালিকাভুক্ত জামাত বিএনপির কর্মীদের ছাত্রলীগে অন্তর্ভুক্ত করছে রিয়ান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেক আওয়ামীলীগ নেতা মনে করেন জেলা ছাত্রলীগের সর্বোচ্চ পদে থেকে জামাত বিএনপির সাথে সখ্যতা করে তাদের দলে ভিড়িয়ে এই রিয়ান আওয়ামীলীগের ক্ষতি করছে । স্থানীয় অনেকেই জানান, অতীতে রিয়ানের পরিবারের কেউ আওয়ামীলীগের কর্মী অথবা সমর্থক ছিলো না। উল্টো তার পরিবার বিএনপির সমর্থন করতো। সে কিভাবে এতো বড়ো একটা পদ পেল এবং পদ পেয়ে পদের অপব্যবহার করছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অনেকে। রিয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে পুরো ফরিদপুরে চাদাবাজী , টেন্ডারবাজী চালিয়ে যাচ্ছে পুরোদমে । আসন্ন কাউন্সিলে ফ্রী ষ্টাইলে জামাত বিএনপির ছেলেদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের কমিটিতে ঢুকানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিয়ান বলেন,আমি বিয়ে করেনি। বিয়ের যে রেজিস্ট্রি কপি আপনাদের কাছে গেছে সেইটি ভুয়া। ছবিতে আপনার সাথে যে নারীকে দেখা যাচ্ছে তিনি কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমার গার্লফ্রেন্ড।
আপনার মতামত লিখুন :