আতাউর রহমান,মেহেরপুরঃ ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সাল মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানে মেহেরপুর জেলার নিলুফার ইয়াসমিন রুপা ওরফে রুপা মনি হয়েছেন অঢেল অর্থ-সম্পদের মালিক। রুপা মনির বিষয়ে দুই পর্বে সংবাদ প্রকাশের পর সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আজকের বাংলাদেশ টুয়েন্টিফোর ডটকম পত্রিকার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদর্শন করে চলেছে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলে যে, দেখে নেব তাদের হাত কত শক্তিশালী।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় রুপা মনি নব্য আন্ডারওয়ার্ল্ড এবং অস্ত্র ব্যাবসার সাথেও জড়িত। রুপা মনির সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর মেহেরপুরে টক অফ দা টাউনে রূপ লাভ করেছে।
মেহেরপুরের বিশেষ ব্যক্তিদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আজকের বাংলাদেশ টুয়েন্টিফোর ডটকম পত্রিকার প্রতিনিধিকে মেহেরপুরের জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহিন বলেন, সাংবাদিকদের কাজ হলো সত্য অনুসন্ধান করা। সত্য ঘটনা তুলে ধরা এবং দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করানো । রুপা মনির বিষয়টি সঠিক হলে অবশ্যই বিষয়টি আইনের আওতায় আনতে হবে। এখানে বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই।
এ ব্যাপারে মেহেরপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক আরিফুল এনাম বকুল বলেন, এই ধরনের অনৈতিক কাজের সাথে ব্যক্তি সে যেই হোক, তাদের আইনের আওতায় অবশ্যই আনতে হবে। এটাই আমি আশা রাখি।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নূরজাহান বলেন, রুপা যে কাজ করছে বা করেছে এটা আমাদের নারী সমাজের জন্য খুবই লজ্জার বিষয়। এটি অবশ্যই প্রশাসনের দেখা দরকার।
এ ব্যাপারে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলার সাধারণ সম্পাদক এম সাইদুর রহমান বলেন, মেয়েটির শিল্পকলার শিল্পী হিসেবে নেই। শিল্পী কিনা তা আমার জানা নেই। রুপা বলে কথা নয় এই ধরনের কাজ যেই করবে তাকে আইনের আওতায় আনা উচিত।
রুপা মনি কর্ম জীবনে যে কয় বছর আমঝুপি মউক এনজিওতে কাজ করেছিল প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক আসাদুজ্জামান সেলিম বলেন, আইনের উর্ধ্বে কেউ নয় ।আমার স্টাফদের কাছ থেকে শুনেছি সে বর্তমানে প্রচুর অর্থ সম্পদ গাড়ি-বাড়ির মালিক। বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়, এতো অল্প সময়ে এটা কি ভাবে সম্ভব ?।
এ ব্যাপারে মেহেরপুর বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম খোকন বলেন, এটি মেহেরপুরের মানুষের জন্য একটি কলঙ্ক এবং ক্ষতিকর দিক।
মেহেরপুর আওয়ামী যুবলীগের সদর উপজেলার যুগ্ন আহবায়ক মিজানুর রহমান অপু বলেন, কেবল রূপা নয় বাংলাদেশে নারী সন্ত্রাসের উত্থান হয় ওয়ান-ইলেভেন যখন জামাত-শিবির বিভিন্ন মামলা-হামলায় গোপনে ছিল তখন তারা তাদের কৌশল পাল্টিয়ে লোভী উচ্চবিলাসী কিছু নারীদের ব্যবহার করে। সেই সব নারীরা লেবাস পাল্টিয়ে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নসহ সমাজকে কলুষিত করে চলেছে। অবশ্যই সব ঘটনা দ্রুত বিচার ও আইনী পদক্ষেপ নেয়া উচিত। বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রুপা মনির অত্যন্ত কাছের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী বলেন, সে আমার সুখের সংসার ভেঙ্গে দিয়েছে। এরকম অনেকের সংসারে সে আগুন জ্বালিয়েছে। সে একজন কলঙ্কিত নারী, সে অনেক অপরাধের সাথে জড়িত আমি এটা গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, রুপাকে পুলিশী রিমান্ডে নিলে সব বেরিয়ে আসবে। আমি চাই তার যেন উপযুক্ত বিচার হয় যেন। রুপা মনি বিএনপির গোপন মিশনের আই পি হিসেবে কাজ করছে। সে ম্যাডাম খালেদা জিয়ার ফলোয়ার, নিজেকে সেভাবেই প্রেজেন্ট করেন বলেও জানা যায়।
(প্রিয় পাঠক সাথে থাকুন তথ্য দিন বিস্তারিত আগামী চতুর্থ পর্বে) চলবে।
আপনার মতামত লিখুন :