মোঃ আতাউর রহমান, মেহেরপুরঃ নব্য স্বাধীনতার মাত্র তিন বছরের মাথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন ।বঙ্গবন্ধু সপরিবারে আগস্ট মাসের ১৫ তারিখে সপরিবারে নিহত হওয়ার পর এদেশের বিশ্বাস ঘাতকদের ক্ষমতা হাতে চলে যায়। ১৯৭৫ থেকে১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিশ্বাস ঘাতকরা ক্ষমতায় ছিল এরা। যার ফলে দেশের দুর্নীতি সহ সকল অপরাধ মহীরুহ আকার ধারণ করে। দীর্ঘ ২১ বছর পর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করে পরবর্তী পাঁচ বছরে বিরোধী অবস্থানে থাকার পর পুনরায় ২০০৯ সালে আবারো ক্ষমতায় আসে ,দুর্নীতির কবর রচনা করার অঙ্গীকার করে সার্বিক পরিকল্পনা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে দেশ প্রেমিক মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন। এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনলাইন পত্রিকা আজকের বাংলাদেশ টুয়েন্টিফোর ডটকম ইতিমধ্যে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে যে তারা আপোষহীন। এরই ধারাবাহিকতায় মেহেরপুর মানুষের কাছে আজ একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন মাত্র দশ বছরে অজপাড়াগাঁয়ের এক নিম্নবিত্ত পরিবারের নিলুফার ইয়াসমিন রুপা ওরফে রুপা মনির বিস্ময়কর উত্থান মেহেরপুর বাঁসী জানতে চায় ।
কে এই রুপা ও রুপা মনির পরিচয়: মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা ও উপজেলা অধীন হাড়িয়াদহ গ্রামের এক নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্ম। এই রুপা গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের পড়াশোনা শেষ করার পর গাংনী মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি হয়। অষ্টম শ্রেণি পড়াকালীন পরিবারের অভাবের জন্য তার পড়া বন্ধ হয়ে যায়। পিতা মাত্র ১৪ বছর বয়সে তার বিবাহ দিয়ে দেয় একজন স্কুল শিক্ষক বেকার ছেলের সাথে। স্বামীর ডাক নাম মিঠু পিতাঃ মোঃ আইয়ুব আলী গ্রাম শ্যামপুর থানা ইউনিয়ন পরিষদ আমঝুপি। মাত্র ১৮ বছর বয়সে দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় রুপা।
অভাবের সংসারে বেকার স্বামীর কষ্ট সহ্য করতে না পেরে কিছু করার জন্য স্বামীসহ মেহেরপুরে হালদার পাড়ায় ৩ নম্বর ওয়ার্ড হালদার পাড়ায় ঘর ভাড়া নেয় এবং বসবাস শুরু করে, তখন থেকেই শুরু হয় তার উপরে উঠার স্বপ্ন।
জানা যায় পরবর্তীতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করে, বর্তমানে সে নিজেকে দাবী করে সে বিএ পাশ। প্রথম জীবনে সে একটা বীমা কোম্পানিতে চাকরি শুরু করে পরবর্তীতে সে মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আট বছর চাকরি করে, এই সূত্রে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে তার যোগাযোগ বেড়ে ওঠে। সেই থেকে শহরে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে মিলেনিয়াম নামে একটি কিন্টারগার্ডেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন তাঁর এই স্কুলে আড়ালে শুরু হয় তার অনৈতিক কাজ, সে তখন একটি স্থায়ী রিকশা চলাচল করত আর তার স্বামী বড় বাজারে কাঁচামালের আড়তে খাতা লেখার কাজ করতো রুপামনির সৌন্দর্য চেহারা মিষ্টভাষী এবং তেল মারার সুবাদে মেহেরপুরের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে সে প্রশাসনসহ সকলের সাথে তার সখ্যতা গড়ে তোলে।
এরপর থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে শোনা যায় সে আট বছরের ব্যবধানে কোটি কোটি টাকার মালিক। তার নামে বিলাসবহুল বাড়ি চারটি বিভিন্ন ব্রান্ডের গাড়ি রুপা এন্টারপ্রাইজ ও রুপা কনস্ট্রাকশন নামে দুটি ফার্ম আছে তার। এছাড়া নামে-বেনামে প্বিরায় ৩০ বিঘা জমি আছে একটি বিউটি পার্লার আছে ,মৎস্য চাষের খামার আছে, রুপা বিভিন্ন সংগঠন ও নামকরা ক্লাবের সাথে জড়িত।
অনুসন্ধানে জানা যায় দুই মেয়েকে ঢাকার দামি স্কুলে পড়ানো করানো হচ্ছে। গুলশানের অভিজাত এলাকায় বাড়ি ভাড়া করে রাখেন এতে মাসে প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয় হয়, শোনা যায় সে মাদক চোরাচালান ও নারী পাচার চক্রের সাথে জড়িত। সে মাঝে মাঝে কক্সবাজারে আসা-যাওয়া করে তার নিজস্ব প্রাইভেট গাড়িতে এবং বিলাস বহুল ফাইভ স্টার হোটেল থাকে। মাঝে মাঝে দেশের বাইরে টুরে যায়।
রুপা বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনেক হাইব্রিড নেতাদের খুব কাছের মানুষ। শোনা যায় ভুঁইফোড় শিল্পপতি হাবিব যে ঋণ খেলাপীর দায়ে জেলে আছে তার সঙ্গে রুপার রয়েছে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক তার মাধ্যমে ঢাকার অনেক দুর্নীতিবাজ শিল্পপতি প্রভাবশালী আমলাসহ উঠতি নব্য অবৈধ ধনীদের সাথে তার যোগাযোগ বিস্তার লাভ করে।
রুপা মনির এই অস্বাভাবিক বিলাসবহুল উত্থানের বিষয়টি মেহেরপুরবাসী জানতে চায়। তার এই অঢেল অর্থ-সম্পদ বিলাস বহুল জীবনের আয়ের উৎস কোথায়?
(প্রিয় পাঠক সাথে থাকুন তথ্য দিন বিস্তারিত আগামী দ্বিতীয় পর্বে) চলবে।
আপনার মতামত লিখুন :