নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের চর কলমিতে সৎ পিতা কর্তৃক শিশু সাইফুল ইসলাম অন্তরকে হত্যার ঘটনায় মামলা করেন নিহত অন্তরের মা আকলিমা বেগম সে মামলার সাক্ষিদের কে ঘর পোড়ার মিথ্যা মামলার হুমকি ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগি পরিবার। বুধবার ১ সেপ্টেম্বর বেলা ১২ টায় চরকলমি হত্যা মামলার বাদী গ্রামের আকলিমার বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, অন্তর হত্যা মামলার বাদী চর কলমি গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী আকলিমা বেগম, হত্যা মামলার সাক্ষি একই গ্রামের মুত মকবুল আহম্মেদের পুত্র বোরহান উদ্দিন(৬০), বোরহান উদ্দিনের পুত্র আরিফ হোসেন(৩৩), জাসশেদ উদ্দিন (২৬), আব্দুল কাদের এর স্ত্রী নাসিমা বেগম(৪০)। আকলিমা বেগম বলেন, চরকলমি গ্রামের হোরনের পুত্র গিয়াস উদ্দিনের সাথে ৮ মাস আগে দ্বীতিয় বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আমার প্রথম পক্ষের পুত্র সন্তান সাইফুল ইসলাম অন্তর(৮) কে সে মেনে নিতে পারেনি বিয়ের পর থেকে বালিশ চাপা, বিষ দিয়ে সহ একাধিকবার হত্যা চেষ্টা করা হয়। ঐসকল ঘটনা অন্তর আমাকে জানাতো আমি এর প্রতিবাদ করলে আমার স্বামী গিয়াস উদ্দিন আমাকে মারধর করতো। গত ১ আগস্ট গিয়াস উদ্দিন ও তার ভাবী রেহেনা আমার ছেলে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে বাড়ীর উত্তর পশ্চিম পাশের পুকুরে পেলে যায়। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি মামলা নং ১৯/২০/৮/২১, পিটিশান নং ৩৯৫/২১। মামলার থেকে তারা আামকে মামলা তুলে নিতে হুমকি ধমকি দেয় এবং মামলার সাক্ষিদেরকে সাক্ষি না দিতে নানা রকম হয়রানী করা হয়। গত ২৫ আগস্ট বুধবার বিকাল ৪ টায় অন্তর হত্যা মামলার প্রধান আসামি গিয়াস উদ্দিনের ভাই মাঈন উদ্দিনের ঘরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগে সে ঘটনায় তারা মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়ে উপরোক্ত সাক্ষিদেরকে হত্যা মামলায় সাক্ষি না দিতে হুমকি ধুমকি দিচ্ছে এবং অন্তর হত্যা মামলা তুলে নিতে আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এসকল ঘটনায় মাঈন উদ্দিনের শ্বশুর বাহার এবং একই গ্রামের মোশারফ হোসেনের পুত্র এলাকার প্রভাবশালী মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে চিনি বাবুল, মাহবুবুল হকের পুত্র রায়হান (৩০) এর ইন্ধনে অভিযুকক্তরা আমাদেরকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরো বলেন, একটি সুপরিকল্পিত হত্যা কান্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মাঈন উদ্দিন, বাহার, চিনি বাবুল, রায়হান আমাদেরকে হয়রানি করে যাচ্ছে। অভিযুক্ত মাঈন উদ্দিন বলেন, আমরা বাড়ীতে ছিলাম না সন্ত্রাসীরা আমার ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমার মা সব দেখেছে। চর এলাহি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য বেলায়েত হোসেন বলেন, মাঈন উদ্দিনের ঘরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছিলো, ঘটনাস্থলে আমাদের চকিদার আতিক উল্যাহ উপস্থিত থেকে সবাইকে নিশ্চিত করেছেন এবং এলাকাবাসী ফেসবুকে সেটির ভিডিও দিয়েছিলো। এখন তারা ঘরে ঘরে অন্যকেউ আগুন দিয়েছে বলে মিথ্যাচার করছে সেটা অন্যায়। আগুন যে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে লেগেছে সেটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সবাই অবগত আছেন এবং বিদ্যৎ বিভাগের লোকজন গিয়ে সেখানে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করেছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, হত্যার পর লাশ কবরস্থ করা হয় পরে নিহত অন্তরের মায়ের অভিযোগ পেয়ে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। ময়নাতদন্তের পর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।