মনিরুজ্জামান অপূর্ব,ঢাকা:নোমান গ্রুপের চুরি যাওয়া ৯০টি কাপড়ের রোল ও কার্ভাড ভ্যান উদ্ধারসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ আসাদুজ্জামান মোল্লা আসাদ, আল আমিন ওরফে সরোয়ার ও মোঃ আবেদ আলী।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ধারাবাহিক অভিযানে রাজধানীর উত্তরা ও গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। এসময় তাদের হেফাজত হতে ৯০টি কাপড়ের রোল (৮৪৬০ মিটার কাপড়) উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত কাপড়ের আনুমানিক মূল্য ৮ লক্ষ টাকা।
আজ (রবিবার) দুপুর ১২ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, কতিপয় চোর একটি কাভার্ড ভ্যানসহ গার্মেন্টসের চোরাই মালামাল বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর ধৌর ব্রীজ এলাকায় অবস্থান করছে মর্মে তথ্য পায় গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। এমন তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত স্থান হতে গার্মেন্টস পণ্য চুরি করে দেশের পোশাক শিল্প ধ্বংসের পায়তারায় লিপ্ত চোর চক্রের সদস্য আসাদুজ্জামানকে কাভার্ড ভ্যানসহ গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার চাঁদপুরস্থ গ্রেফতারকৃত আল আমিনের গোডাউন হতে নোমান গ্রুপের চুরি যাওয়া তোষক/কাপড়ের ব্যাগ তৈরীর কাজে ব্যবহৃত ৮৪৬০ মিটার কাপড় উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত আসাদুজ্জামান কাপড় ভর্তি উক্ত কাভার্ড ভ্যান চুরি করে তার পূর্ব পরিচিত গ্রেফতারকৃত আল আমিন এর গোডাউনে রাখে। পরবর্তীতে উক্ত মালামাল গ্রেফতারকৃত আবেদের মাধ্যমে গাজীপুরের এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত আসাদুজ্জামান বিভিন্ন কোম্পানীতে চাকরি নিয়ে সুযোগ বুঝে গাড়িসহ মালামার চুরি করতো। চোরাইকৃত মালামাল তার সহযোগীদের মাধ্যমে বিক্রয় করতো। পুনঃরায় অন্য কোম্পানীতে একই ধরনের অপরাধ সংঘটন করতো। তার বিরুদ্ধে গাজীপুরের কালিগঞ্জ ও টঙ্গি পূর্ব থানায় একাধিক মামলার তথ্য পাওয়া যায়।
ড্রাইভার বা হেলপার নিয়োগের পূর্বে তার ঠিকানা ও চরিত্র সম্পর্কে যথাযথভাবে যাচাই করা ও তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ও পরিবারের মোবাইল নাম্বারসহ এনআইডি কার্ড সংরক্ষণ করা ও সার্বক্ষণিক কাভার্ড ভ্যানের অবস্থান নির্ণয়ে জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহার করার জন্যে গার্মেন্টস মালিক ও গাড়ির মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
গ্রেফতারকৃতদের তুরাগ থানায় রুজুকৃত মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম এর দিকনির্দেশনায়, অতিঃ উপ পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান এর তত্ত্বাবধানে ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম ইনচার্জ এডিসি আশরাফউল্লাহ এর নেতৃত্বে এই অভিযানটি পরিচালিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :