• ঢাকা
  • সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন

নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম 


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪, ৬:২৪ অপরাহ্ন / ৩১
নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) সাম্প্রতিক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পাঠানো লিগ্যাল নোটিশের ব্যাপারে সময় সংবাদের সঙ্গে কথা বলেছেন চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম। তার দাবি, তাকে ফাঁসানোর জন্যই একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ষড়যন্ত্রকারীরাই তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলে তাকে হেনস্তার চেষ্টা করছেন। পাঠানো লিগ্যাল নোটিশ প্রসঙ্গে সোমবার সময় সংবাদের কাছে অভিযোগের বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন তিনি।

নিয়োগে অভিযোগ প্রসঙ্গে বিআরটিসির চেয়ারম্যান বলেন, দেড় বছর আগে আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করি। প্রথমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়, সেই বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে প্রায় ৩৭ হাজার লোক আবেদন করেন। একেবারে নিচের দিকের ১৮ গ্রেডের পদে নিয়োগ ছিল। আবেদনকারী বেশি হওয়ায় আমরা প্রথমে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিই। এরপর নেয়া হয় লিখিত পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষার পর আমরা ১ হাজার ১০০ জনকে ভাইভায় ডাকি। আমাদের এখানে একজন মেজর সদস্য সচিব, আরেকজন সদস্য হচ্ছেন কর্নেল।

নিয়োগ বোর্ডে মন্ত্রণালয়ের সদস্যসহ ছয় সদস্যের কমিটি চুলচেরা বিশ্লেষণ করে নিয়োগ দেয়, সেই নিয়োগের ভেতর বিন্দু পরিমাণ অসততার চিহ্ন নাই।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ১৮২ জন এবং আরেক বিজ্ঞপ্তিতে ৩৫ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। তাদের বেশিরভাগই সাম্প্রতিক আন্দোলনে জড়িত ছিলেন। এই নিয়োগে ৩৯ জন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক যোগদান করেছে। বেকারত্ব হ্রাস করার জন্য যেখানে আমরা নিয়োগকে উৎসাহিত করব সেখানে উকিল নোটিশে লেখা রয়েছে, পুরানোদের বেতনের কথা লেখা রয়েছে, আমি তাদের বেতন পরিশোধ করেছি। কিন্তু আগে তারা বেতন পেতেন না, খাবার পেতেন না, সিপিএফ পেতেন না, গ্রাচ্যুয়িটি পেতেন না। আগে তাদের ৬ কোটি টাকা বেতন দিতে পারেনি, কিন্তু এখন তাদের ১২ কোটি টাকা বেতন পরিশোধের পরও বিআরটিসি লাভে।

তিনি আরও বলেন, যিনি উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন তিনি দীর্ঘদিন আগেই অবসরে গেছেন, তখন তিনি কোনো টাকা পাননি, কিন্তু আমার সময়ে তিনি টাকা পেয়েছেন। অবসরে গেলেও তিনি এখনও চান এখানে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক। তিনি চেষ্টা করছেন কিন্তু পারেননি এবং পারবেন না। এখানে প্রায় পাঁচ হাজার কর্মচারী, কিন্তু বেশিরভাগই এর সঙ্গে জড়িত না। যারা এতে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। ষড়যন্ত্রকারীরা অনেক দিন ধরেই আমাকে ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছিলেন, তারাই আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। যারা এই দুষ্টচক্রে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ বিষয়গুলো আমি সচিব মহোদয়ের সঙ্গে শেয়ার করেছি। সচিব মহোদয় বিষয়টি উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে শেয়ার করবেন।

এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিআরটিসির চেয়ারম্যানসহ মোট সাতজনকে আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহবুবুর রহমান খান।