আয়েশা সিদ্দিকী, ঢাকাঃ রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটক ঢাকাই ছবির আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরীমনির বাসায় অভিযান চলিয়ে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করেছে র্যাব। আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
র্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, অভিযানে প্রথম দিকে পরীমণি র্যাবকে সহযোগিতা করেননি। তবে পরে তার ঘর তল্লাশি করে ফ্ল্যাটের কেবিনেট থেকে বিদেশি মদ, লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইইথ্যালামাইড (এলএসডি) এবং আইস উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তার ড্রয়িং রুমের কাভার্ড, শো-কেস, ডাইনিং রুম, বেডরুমের সাইড টেবিল এবং টয়লেট থেকে বিপুল সংখ্যক মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে।
পরীমণির বাসায় এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে মদ নেই। তার কাছে দেশি-বিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের মদ ছিল, যা বাংলাদেশে খুব কমই আমদানি হয়।
বুধবার (৪ আগস্ট) রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমনিকে তার বাসা থেকে বের করে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র্যাব সদরদফতরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
বুধবার (৪ আগস্ট) রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমনিকে তার বাসা থেকে বের করে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র্যাব সদরদফতরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
বুধবার বিকালে এ চিত্রনায়িকার বাসায় অভিযান চালানো হয়। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে চিত্রনায়িকা পরীমণির বাসায় র্যাব অভিযান পরিচালনা করেছে।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসেছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমণি।
লাইভে এসে পরীমণি বলেন, 'শুরু থেকেই আমাকে মেরে ফেলার ভয় পাচ্ছি। আমাকে কেউ মারতে চান। কেউ এসে পুলিশের পরিচয় দিয়ে এসে যদি আমাকে খুন করতে আসেন তাহলে আমি কি করব। তদন্ত করতে এলে আমাকে পরিচয় দিক। তাহলে আমাকে পরিচয় দিতে হবে। যদি সত্যি পুলিশ হয় তাহলে আমি অবশ্যই দরোজা খুলব।'
তিনি বলেন, আমার বাসার গেটে এসে তারা দরোজা ধাক্কাচ্ছে। পরিচয় জানতে চাইলে তারা বলছেন, তারা পুলিশ। আমি ডিবি অফিসে ফোন করেছি, বনানী থানায় ফোন করেছি। ওসি হারুণ ভাইকে ফোন করলে তিনি বলেন, আমাদের এখান থেকে কেউ যায়নি। তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ যেতে পারেন। দরোজা খুলতে পারো। আমি বলেছি আপনি কনফার্ম না করলে আমি দরোজা খুলব না।
এরআগে গত ১৩ জুন প্রথমে ফেসবুক পোস্টে ও পরে বাসায় সংবাদ সম্মেলনে পরীমণি অভিযোগ করেন, ৯ জুন উত্তরার বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালান জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবাসন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় পরদিন সাভার থানায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন তিনি।