মোঃ রাসেল সরকার,ঢাকাঃ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাবেক সেচ্ছাসেবক লীগ সেক্রেটারি ও সাবেক ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অত্যাচারে আমি ৮ বছর যাবৎ মানবেতর জীবন কাটাচ্ছি। ঘরে বিয়ে উপযুক্ত মেয়ে, বাড়ি ঘর ছাড়া আমি বিয়ে দিতে পারছিনা একটা বাবার নিকট কতটা যন্ত্রণা এর থেকে মরন ভালো। প্রেসক্লাবের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে জ্বলে গেলে মরে গেলে হয়তো খবর প্রচার হবে তখন হয়তো প্রশাসন বা নেতারা আমার সম্পদ আমার ছেলে মেয়েকে পাইয়ে দিবে।
বাড়িটা জাল দলিল বানিয়ে দখল নিয়েছে,ব্যবসা দখল করে নিয়ে ১ঘন্টার ভিতর এলাকা ছাড়তে বাদ্য করেছে।
এবং প্রতারনা করে ২১শতক জায়গা বিক্রি করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আমাকে এলাকায় যেতে দেয়না।
এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাওলাদার রহিম নামের এক ব্যাক্তি তিনি আর বলেন।
সাবেক ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সেক্রেটারি সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান হতে মুক্তি চাই এক সময় আমার বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিল এই দুলাল। আমি আমার বাড়িতে ফিরতে চাই। বউ বাচ্চা নিয়ে খুব কষ্টে জীবনযাপন করছি। নারায়ণগঞ্জসহ দেশের সকল জনগন, রাজনৈতিক নেতা,মিডিয়া ও আইনের লোকদের একটু সাহায্য আশা করছি। পিবিআই ও সিআইডি তদন্তকরে তাদের বিরূদ্ধে রিপোর্ট দিয়েছে তবুও ফিরতে পারছিনা।
দয়াকরে একটা পরিবারকে বাচান।
আমি জীবন দিয়ে দিলে যদি আমার সম্পদ প্রশাসন আমার পরিবারকে পাইয়ে দেয় তবে আত্ন হত্যা মহাপাপ জেনেও করতে রাজি কারন ঘরে বিবাহ উপযুক্ত মেয়ে বিয়ে দিতে পারছিনা,লেখাপড়া ও খাবার দিতে পারছিনা এই ভাবে মানবেতর জীবন কাটিয়ে জীবন শেষ করা ছাড়া কোন পথ দেখছিনা।
মামলা করছি ওয়ারেন্ট হয়েছে সিষ্টেমে জামিন নিয়ে হাইকোর্ট হতে মামলা স্টে এখন বেকেট করতে অনেক টাকা চায় যা বর্তমানে আমার জন্য অসম্ভব। এই যন্ত্রনা আমি সহ্য করতে পারছিনা। দয়াকরে একটু সবাই এগিয়ে আসেন।
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সাবেক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধানের বিরুদ্ধে বাড়ি দখল ও ভূমি ক্রয়ের কথা বলে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের পৃথক দুটি অভিযোগ এনেছেন এক ভুক্তভোগী। এই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করেছেন তিনি। ভুক্তভোগী বাদী রহিম হাওলাদার (৪০) বন্দরের স্বল্পেরচক এলাকার বাসিন্দা। তবে
বর্তমানে দুলাল ও তার লোকজনের ভয়ে ঢাকায় বসবাস করছে বলে জানান তিনি।ভূমি ক্রয়ে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎ মামলার অভিযোগে তিনি বলেন, ২০১১ সালে দুলাল ও তার ৬ সহযোগীর কাছ থেকে ২৬ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেন তিনি। সেসময় বলা হয় এই সম্পত্তি তাদের পৈত্রিক জমি। এরপর থেকে জায়গা বুঝিয়ে দেয়ার কথা বললে বিবাদীরা কালক্ষেপণ করতে থাকে। পরে ২০১৬ সালে তাকে জায়গা বুঝিয়ে দেয়া হয়। এরপর বাদী ঢাকায় বসবাস করতে শুরু করেন। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বাদী এলাকায় এসে দেখেন তার কেনা জায়গায় অন্য লোক মাটি ভরাট করে টিনশেড বাড়ি তৈরী করেছে। তখন তাদের জিজ্ঞাসা করলে বলে তারা এই জমির প্রকৃত মালিক ও দখলদার।
এই ঘটনার পর বাদী ১৮ ডিসেম্বর দুলালের কাছে এসে ঝামেলামুক্ত সম্পত্তি দাবী করেন অন্যথায় টাকা ফেরত চান। কিন্তু তাতে দুলাল ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে এলাকা ছাড়তে বলে। ঘটনার পর বাদী বেশ কিছুদিন পালিয়ে ছিলো। পরে নির্বাচন শেষে চলতি মাসের ২৩ ফেব্রুয়ারি দুলালের বিরুদ্ধে ৫২ লক্ষ টাকা আত্মসাঁৎ এর অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।
শুধু তাই নয়, বাদী রহিম হাওলাদারের দাবী তার একটি একতালা বাড়িও দুলাল প্রধানের লোকজন দখল করে রেখেছে। ভুয়া দলিল তৈরী করে নতুন ক্রেতার কাছে বাড়ি বিক্রি করেছে বলে দাবী করেন তিনি।
এই বিষয়ে সাবেক কাউন্সিলর দুলাল প্রধান বলেন, আমার কাছে জমির কাগজপত্র আছে। সে মামলা করেছে, আমি আদালতে কাগজ দেখালেই প্রমাণ হয়ে যাবে কে সত্য বলছে আর কে মিথ্যা বলছে। আর তার যেই একতালা বাড়ি সেটা আমি মেরামত করে একজনকে থাকতে দিয়েছি। সে চাইলেই সেটা দিয়ে দিবো। অনেকদিন পরিত্যাক্ত পরে থাকায় মেরামত করে একজনকে থাকতে দিয়েছিলাম।