এম রাসেল সরকারঃ নারায়ণগঞ্জে রয়েল টোব্যাকো নামে একটি সিগারেট কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ শলাকা অবৈধ সিগারেট ও ২০ লাখ পিস নকল ব্যান্ডরোল উদ্ধার করেছে র্যাব। শনিবার নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত মোহাম্মদ নোমানের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ র্যাব ১১ এর একটি দল অভিঙান পরিচালনা করেন। নোমান বলেন, নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহারের মাধ্যমে কারখানাটির মালিক সরকারকে রাজস্ব বঞ্চিত করে আসছিল অনেকদিন ধরে।
নারায়াণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত রয়েল টোব্যাকোর মালিক মাসুম বিল্লাহ। অভিযানের সময় তাঁকে সেখানে পাওয়া যায়নি বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
নোমান বলেন, ‘বিপুল পরিমাণ অবৈধ সিগারেট এবং ব্যান্ডরোল জব্দ করার পর সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। এসময় কারখানা তিনজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ১৫ দিন করে এবং একজনকে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে।’ র্যাব সূত্রে জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে অবৈধভাবে সিগারেট উৎপাদন করছিলো রয়েল টোব্যাকো।
সরকার নির্ধারিত সিগারেটের সর্বনিম্ন মূল্য ৪৫ টাকা হলেও তারা ১৫-২০ টাকা প্যাকেট সিগারেট বিক্রি করে আসছিলো। অথচ এই এক প্যাকেট সিগারেটে সরকারক ট্যাক্স দিতে হয় প্রায় তিরিশ টাকা। এই ট্যাক্স স্ট্যাম্প বা ব্যান্ডরোল সঠিকভাবে প্রতিস্থাপিত হয় কিনা তা তদারকির জন্য কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের একজন কর্মকর্তা থাকার কথা কিন্তু শনিবার তাঁকে সেখানে পাওয়া যায়নি। অভিযান শুরুর ঘন্টা খানেক পরে তিনি ফ্যাক্টরিতে আসেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. সেলিমুজ্জামান বলেন, দীর্ঘ অনুসন্ধান করে র্যাবের গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন যে এই কারখানার কোনো পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। রেড কেটাগরির শিল্প প্রতিষ্ঠান হওয়ায় সিগারেট ফ্যাক্টরি চালুর পূর্বেই পরিবেশ ছাড়পত্র নেয়া বাধ্যতামূলক।
জানা যায় রয়েল টোব্যাকোর এই ফ্যাক্টরী থেকে দৈনিক অন্তত ২০ লাখ শলাকা সিগারেট উৎপাদন সম্ভব।
অভিযান শেষে ম্যাজিস্ট্যাট ৪ জনকে ১৫ দিনের জেল ও জব্দকৃত নকল ব্যান্ডরোল সংযুক্ত অবৈধ সিগারেট ধ্বংস করেন। পাশাপাশি ফ্যাক্টরির গেইটে তালা দেন
আপনার মতামত লিখুন :