• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন

নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের ভুইয়া পাড়ায় ইয়াবার ছড়াছড়ি মোঃ রাসেল সরকার// নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের একাংশ সিদ্ধিরগঞ্জের প্রতিটি পাড়ামহল্লার অলিগলিতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা ট্যাবলেট। সমাজের উঠতি বয়সের ছেলেরা যেমন এ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে তেমনি স্কুল ও কলেজগামী ছাত্ররাও ইয়াবার নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। অথচ ইয়াবার বিরুদ্ধে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ড রয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার ভুইয়াপাড়া এলাকায় বাদশা মিয়ার ছেলে সাব্বিরের সহযোগি সজিব সহ আরো কয়েকজন মিলে মাদকের এক সিন্ডিকেট ঘরে তুলেছে। এই সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসার পাশাপাশি চাঁদাবাজি ব্ল্যাকমেইল, অপহরন সহ এমন কোন হীন অপরাধের ঘটনা নেই যে এই সিন্ডিকেট করেনি, কিন্তু শত অপরাধ করেও তারা এখনো পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে।ওয়ার্ডগুলোর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এলাকাবাসীর সঙ্গে আলাপকালে তারা ইয়াবা কারবারের কথা জানান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, এলাকাভিত্তিক সরকারদলীয় কিছু সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় দিচ্ছে। থানা পুলিশও এ এদের বিরুদ্ধে নিচ্ছে না কোনো আইনগত ব্যবস্থা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব মাদক কারবারির কাছ থেকে মাসোয়ারা পাওয়ার কারণে পুলিশ এদের গ্রেফতার করছে না। তবে যাদের কাছ থেকে পুলিশ মাসোয়ারা পাচ্ছে না কেবল তাদেরকে ইয়াবা, গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ আটক করছে বলে এলাকাবাসী জানান। গত এক বছরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ কোনো বড় ধরনের ইয়াবা কিংবা ফেনসিডিল চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করতে অনেক চেষ্টা করার পরেও তারা গ্রেফতারে সক্ষম হয়নি কিংবা উদ্ধার করতে পারেনি কোনো উল্লেখযোগ্য মাদকদ্রব্য। অথচ কোটি কোটি টাকার মাদক কেনাবেচা হলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে নীরব ভূমিকা পালন করায় সিটিবাসী রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে। শত শত নারী-পুরুষ জড়িয়ে পড়েছে এই মাদক চোরাকারবারিতে। সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে মাদক কেনাবেচা ও সেবন। রাস্তার মোড়ে মোড়ে মাদক বিক্রেতা ও ক্রেতার আনাগোনা বৃদ্ধি পেতে থাকে। পুলিশের টহল না থাকায় এরা রাতের বেলায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাই এলাকাবাসী প্রতিটি পাড়া-মহল্লা এবং অলিগলিতে র‌্যাব টহলের জোরালো দাবি জানান। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের এলাকার তাঁতখানা এলাকার বাসিন্ধা জাকির বলেন এলাকায় সন্ধার পরে বলে হওয়া বিপদজনক, পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকার বাসিন্দা সুফিয়া এলাকার মেয়েরা এখানে অসহায় বলে বলেন, যেভাবে ইয়াবা ব্যবসা সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে তাতে ঘর থেকে বের হওয়াই দায় হয়ে পড়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে সমাজে বসবাস করা দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সানারপাড়ের বাসিন্দা মো. করিম মিয়া বলেন, পুলিশ প্রশাসনের নজর না থাকার কারণে ইয়াবায় ভাসছে গোটা সিদ্ধিরগঞ্জ। খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের বিলাসবহুল আবাসিক এলাকা হিসেবে খ্যাত হিরাঝিল, সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং, ভূমিপল্লী, সানারপাড়, নয়াআঁটি এ সব এলাকার বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে অনেক মাদক চোরাকারবারি অবাধে মাদক ব্যবসার পাশাপাশি নারীদের রেখে অনৈতিক কারবার চালাচ্ছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে কোনো ছাড় নেই। প্রতিদিনই কমবেশি মাদক উদ্ধার করা হচ্ছে এবং মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ১:০১ পূর্বাহ্ন / ৮৮
নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের ভুইয়া পাড়ায় ইয়াবার ছড়াছড়ি  মোঃ রাসেল সরকার// নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের একাংশ সিদ্ধিরগঞ্জের প্রতিটি পাড়ামহল্লার অলিগলিতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা ট্যাবলেট। সমাজের উঠতি বয়সের ছেলেরা যেমন এ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে তেমনি স্কুল ও কলেজগামী ছাত্ররাও ইয়াবার নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। অথচ ইয়াবার বিরুদ্ধে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।   নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ড রয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার ভুইয়াপাড়া এলাকায় বাদশা মিয়ার ছেলে সাব্বিরের সহযোগি সজিব সহ আরো কয়েকজন মিলে  মাদকের এক সিন্ডিকেট ঘরে তুলেছে। এই সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসার পাশাপাশি চাঁদাবাজি ব্ল্যাকমেইল,  অপহরন সহ এমন কোন হীন অপরাধের ঘটনা নেই যে এই সিন্ডিকেট করেনি,  কিন্তু শত অপরাধ  করেও তারা এখনো পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে।ওয়ার্ডগুলোর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এলাকাবাসীর সঙ্গে আলাপকালে তারা ইয়াবা কারবারের কথা জানান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, এলাকাভিত্তিক সরকারদলীয় কিছু সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় দিচ্ছে। থানা পুলিশও এ  এদের বিরুদ্ধে নিচ্ছে না কোনো আইনগত ব্যবস্থা।   খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব মাদক কারবারির কাছ থেকে মাসোয়ারা পাওয়ার কারণে পুলিশ এদের গ্রেফতার করছে না। তবে যাদের কাছ থেকে পুলিশ মাসোয়ারা পাচ্ছে না কেবল তাদেরকে ইয়াবা, গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ আটক করছে বলে এলাকাবাসী জানান। গত এক বছরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ কোনো বড় ধরনের ইয়াবা কিংবা ফেনসিডিল চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করতে অনেক চেষ্টা করার পরেও তারা গ্রেফতারে সক্ষম হয়নি কিংবা উদ্ধার করতে পারেনি কোনো উল্লেখযোগ্য মাদকদ্রব্য। অথচ কোটি কোটি টাকার মাদক কেনাবেচা হলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে নীরব ভূমিকা পালন করায় সিটিবাসী রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে।   শত শত নারী-পুরুষ জড়িয়ে পড়েছে এই মাদক চোরাকারবারিতে। সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে মাদক কেনাবেচা ও সেবন। রাস্তার মোড়ে মোড়ে মাদক বিক্রেতা ও ক্রেতার আনাগোনা বৃদ্ধি পেতে থাকে। পুলিশের টহল না থাকায় এরা রাতের বেলায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাই এলাকাবাসী প্রতিটি পাড়া-মহল্লা এবং অলিগলিতে র‌্যাব টহলের জোরালো দাবি জানান। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের  এলাকার তাঁতখানা এলাকার বাসিন্ধা জাকির বলেন এলাকায় সন্ধার পরে বলে হওয়া বিপদজনক, পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকার বাসিন্দা সুফিয়া এলাকার মেয়েরা এখানে অসহায় বলে বলেন, যেভাবে ইয়াবা ব্যবসা সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে তাতে ঘর থেকে বের হওয়াই দায় হয়ে পড়েছে।   পরিবার-পরিজন নিয়ে সমাজে বসবাস করা দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সানারপাড়ের বাসিন্দা মো. করিম মিয়া বলেন, পুলিশ প্রশাসনের নজর না থাকার কারণে ইয়াবায় ভাসছে গোটা সিদ্ধিরগঞ্জ। খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের বিলাসবহুল আবাসিক এলাকা হিসেবে খ্যাত হিরাঝিল, সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং, ভূমিপল্লী, সানারপাড়, নয়াআঁটি এ সব এলাকার বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে অনেক মাদক চোরাকারবারি অবাধে মাদক ব্যবসার পাশাপাশি নারীদের রেখে অনৈতিক কারবার চালাচ্ছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর  বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে কোনো ছাড় নেই।   প্রতিদিনই কমবেশি মাদক উদ্ধার করা হচ্ছে এবং মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মোঃ রাসেল সরকার,ঢাকাঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের একাংশ সিদ্ধিরগঞ্জের প্রতিটি পাড়ামহল্লার অলিগলিতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা ট্যাবলেট। সমাজের উঠতি বয়সের ছেলেরা যেমন এ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে তেমনি স্কুল ও কলেজগামী ছাত্ররাও ইয়াবার নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। অথচ ইয়াবার বিরুদ্ধে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ড রয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার ভুইয়াপাড়া এলাকায় বাদশা মিয়ার ছেলে সাব্বিরের সহযোগি সজিব সহ আরো কয়েকজন মিলে মাদকের এক সিন্ডিকেট ঘরে তুলেছে। এই সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসার পাশাপাশি চাঁদাবাজি ব্ল্যাকমেইল, অপহরন সহ এমন কোন হীন অপরাধের ঘটনা নেই যে এই সিন্ডিকেট করেনি, কিন্তু শত অপরাধ করেও তারা এখনো পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে।ওয়ার্ডগুলোর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এলাকাবাসীর সঙ্গে আলাপকালে তারা ইয়াবা কারবারের কথা জানান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, এলাকাভিত্তিক সরকারদলীয় কিছু সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় দিচ্ছে। থানা পুলিশও এদের বিরুদ্ধে নিচ্ছে না কোনো আইনগত ব্যবস্থা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব মাদক কারবারির কাছ থেকে মাসোয়ারা পাওয়ার কারণে পুলিশ এদের গ্রেফতার করছে না। তবে যাদের কাছ থেকে পুলিশ মাসোয়ারা পাচ্ছে না কেবল তাদেরকে ইয়াবা, গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ আটক করছে বলে এলাকাবাসী জানান। গত এক বছরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ কোনো বড় ধরনের ইয়াবা কিংবা ফেনসিডিল চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করতে অনেক চেষ্টা করার পরেও তারা গ্রেফতারে সক্ষম হয়নি কিংবা উদ্ধার করতে পারেনি কোনো উল্লেখযোগ্য মাদকদ্রব্য। অথচ কোটি কোটি টাকার মাদক কেনাবেচা হলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে নীরব ভূমিকা পালন করায় সিটিবাসী রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে।

শত শত নারী-পুরুষ জড়িয়ে পড়েছে এই মাদক চোরাকারবারিতে। সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে মাদক কেনাবেচা ও সেবন। রাস্তার মোড়ে মোড়ে মাদক বিক্রেতা ও ক্রেতার আনাগোনা বৃদ্ধি পেতে থাকে। পুলিশের টহল না থাকায় এরা রাতের বেলায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাই এলাকাবাসী প্রতিটি পাড়া-মহল্লা এবং অলিগলিতে র‌্যাব টহলের জোরালো দাবি জানান। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের এলাকার তাঁতখানা এলাকার বাসিন্ধা জাকির বলেন এলাকায় সন্ধার পরে বলে হওয়া বিপদজনক, পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকার বাসিন্দা সুফিয়া এলাকার মেয়েরা এখানে অসহায় বলে বলেন, যেভাবে ইয়াবা ব্যবসা সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে তাতে ঘর থেকে বের হওয়াই দায় হয়ে পড়েছে।

পরিবার-পরিজন নিয়ে সমাজে বসবাস করা দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সানারপাড়ের বাসিন্দা মো. করিম মিয়া বলেন, পুলিশ প্রশাসনের নজর না থাকার কারণে ইয়াবায় ভাসছে গোটা সিদ্ধিরগঞ্জ।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের বিলাসবহুল আবাসিক এলাকা হিসেবে খ্যাত হিরাঝিল, সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং, ভূমিপল্লী, সানারপাড়, নয়াআঁটি এ সব এলাকার বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে অনেক মাদক চোরাকারবারি অবাধে মাদক ব্যবসার পাশাপাশি নারীদের রেখে অনৈতিক কারবার চালাচ্ছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে কোনো ছাড় নেই।

প্রতিদিনই কমবেশি মাদক উদ্ধার করা হচ্ছে এবং মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।