
নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা চেরার মাঠ সীমান্তে নতুন করে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এ ঘটনায় চেরার মাঠ সীমান্ত এলাকার ৩০টি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত গোলাগুলি বাড়তে থাকে সীমান্ত এলাকায়। মর্টারশেল এবং গুলির বিকট শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সীমান্তের বাসিন্দাদের মাঝে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন জানান, গুলিতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন তিনিসহ দুই গণমাধ্যমকর্মী। বিকালে তিনি সীমান্তের গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে আসা লোকজনের খোঁজখবর নিতে গিয়ে হঠাৎ মিয়ানমার থেকে একে-৪৭ রাইফেলের কয়েকটি গুলি চেরার মাঠের ইলিয়াস ও ইউনুসের ধানক্ষেতে পড়ে। তখন অসংখ্য আতঙ্কগ্রস্ত মানুষ জড়ো হয়। যাদের অনেকের পরিবার তখন বাড়ি ছেড়ে নিরাপদে চলে গেছেন। বাকিরাও প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর আগে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে অন্য একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয় আমতলী মাঠ নামক এলাকায় মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর একটি চৌকিতে। যেটি দীর্ঘ দেড় মাস ধরে বিদ্রোহীদের দখলে ছিল। তারা সরকারি বাহিনীকে হটিয়ে তা দখল করে। তার ধারণা, মিয়ানমার সেনারা শক্তি সঞ্চয় করে এ ক্যাম্পগুলো পুনরুদ্ধারের জন্য এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটায় তারা। তিনি আরও জানান, হঠাৎ সীমান্তের এ অংশে গোলগুলির আওয়াজ শুনে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে আসছেন নিরাপদে। এ জন্য তাদের জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য অস্থায়ী আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস বলেন, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অংশে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আতঙ্কিত কিছু লোক সীমান্ত থেকে পালিয়ে আসার খবর পেয়ে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে ব্যবস্থা করা হয়েছে। অস্থায়ী আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে। মাঠপর্যায়ে লোকজনকে শিবিরে নিয়ে আনার ব্যবস্থা করছেন তারা। চেয়ারম্যান, মেম্বার, গ্রামপুলিশ ও চৌকিদার-দফাদারদের নিবিড়ভাবে এসব দেখার জন্য বলা হয়েছে। তিনি নিজেও সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার ফোন রিসিভ হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :