
রাজিব আহমেদ নরসিংদী প্রতিনিধিঃ নরসিংদী পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার আসামী চাঁদাবাজি মামলায় কারাগারে আটক হাজতি লীজন মোল্লা ওরফে লীজনকে কারাবিধি লঙ্ঘন করে জেলের ভিতরে নির্যাতনের প্রতিবাদে জেলসুপার শফিউল আলমের বিচার ও সন্ত্রাসী লীজন মোল্লার দ্রুত মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছেন তার স্বজন ও সহযোগীরা। রোববার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে দশটায় শহরের ব্যস্ততম সড়কে উপজেলার মোড়ে নরসিংদী প্রেসক্লাবের সামনে প্রধান সড়ক বন্ধ করে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ব্যস্ততম সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছিলো নিরব। এবিষয়ে জেলসুপার শফিউল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনে জানান যে, হাজতি নং- ৩১৪৫/২০২২ লীজন মোল্লাকে কোনো মারধর করা হয়নি। সে গত ১৩ জুন/২০২২ থেকে কারাগারে অন্তরীণ হয়। ১৪ জুন সকালে কারা আইন অনুযায়ী কেইস টেবিল করার সময় তাকে ( লীজন মোল্লা) খুঁজে পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে কারারক্ষী সুবেদার হেলাল উদ্দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হাজতি (লীজন মোল্লা) জামিনে বের হয়ে তাকে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়। গত ১৮ জুলাই হাজতি লীজন মোল্লাকে হাজিরার জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালতের হাজিরা শেষে বিকেলে জেল গেইটের প্রধান ফটকে এসে কারারক্ষীদের সাথে বেপরোয়া ও মারমুখী আচরণ শুরু করে। এসময় তার দেহ তল্লাশি করে তার সাথে থাকা নেশা জাতীয় দুইটি ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ দুইহাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এসময় হাজতি লীজন মোল্লা উত্তেজিত হয়ে বলে কেন তার দেহ তল্লাশি করা হলো এবং সে জেল থেকে বের হয়ে কর্তব্যরত জেলার রিজিয়া বেগমসহ অন্যান্য কর্মকতাদের দেখে নেবে বলে আবারও হুমকি দেয়। ১৯ জুলাই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ওই হাজতি অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ও হুমকি দেয়। এবিষয়ে ২০ জুলাই জেলার নরসিংদী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যাহার নং- ১৪৮০। কারাগারের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্হার কথা চিন্তা করে এবং অন্যান্য বন্দীদের মাঝে যেন এর কোন প্রভাব না পড়ে সে কারণে গত ২০ জুলাই জেলসুপার কাশিমপুর উচ্চ নিরাপত্তা সম্পূর্ণ কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন বলে জানান। মানববন্ধনে আসামী লীজন মোল্লার মা, ভাই ও সহযোগীরা জেলসুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, মামলার বাদী মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে লীজনের উপর শারীরিক নির্যাতন করিয়েছে। তারা এও দাবী করেন লীজনের বিরুদ্ধে মামলাটি মিথ্যা ও বানোয়াট। তাই তারা লীজন মোল্লার মুক্তি দাবি করেন। উল্লেখ্য ইতোপূর্বেও আসামী লীজন মোল্লার স্বজনরা থানা পুলিশের বিরুদ্ধেও এমন অভিযোগ করেছিল বলে জানা যায়।
আপনার মতামত লিখুন :