• ঢাকা
  • শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২২ পূর্বাহ্ন

নওগাঁর ধামইরহাটে শিক্ষকের অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন


প্রকাশের সময় : মার্চ ১৩, ২০২৩, ১১:২১ অপরাহ্ন / ৭৫
নওগাঁর ধামইরহাটে শিক্ষকের অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁঃ নওগাঁর ধামইরহাট লক্ষনপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বরখাস্তকৃত সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার আলী শাহের অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

সোমবার দুপুরে ধামইরহাট উপজেলা পরিষদের সামনে লক্ষনপাড়া এলাকাবাসী ও অভিভাবকবৃন্দের আয়োজনে ঘন্টা ব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাদেকুর রহমান, অভিভাবক সদস্য আনোয়ার হোসেনসহ শতাধিক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকবৃন্দ। এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষ এতে অংশ গ্রহন করেন।

সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমাকে হুমকি দিয়ে বলেছেন আমি যদি ধামইরহাট থাকি তবে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ১মার্চ/২০২৩ তারিখের মধ্যে লক্ষনপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসাবো, একাজে আমাকে-কে আটকায় তা আমি দেখবো। তিনি দ্বায়িত্বশীল চেয়ারে থেকে আমাকে এভাবে হুমকি দিতে পারেননা।’

বক্তারা আরও বলেন, পিবিআইয়ের তদন্তে প্রমানিত জাল সনদধারী বরখাস্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং তার সহযোগী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার আলী শাহ প্রতিষ্ঠান বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার যে কোন মূল্যে বির্তকিত এবং বরখাস্তকৃত সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান শিক্ষক পদে বসানোর এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তারা বলেন, কোন ভুয়া এবং জাল সনদ ধারী ব্যক্তিকে আমরা কোন অবস্থাতেই এই প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বা যোগদান করতে দেবোনা।

অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমার বরখাস্তের আদেশ শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমি নিয়মিত বেতন ভাতা পাচ্ছি, আমাকে হয়রানী করা হচ্ছে মাত্র।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার আলী শাহ বলেন, তারা যে মানববন্ধন করেছে মূলত তারা দুপক্ষ একে অপরের বিপক্ষে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি এবং মারামারি করছে। ওই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আমি বিধিসম্মত ভাবেই ও সঠিক সার্কুলার বা আইনগত বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছি, কারও পক্ষ নেওয়া আমার বা সরকারি কোন স্বার্থ জড়িত নেই এবং আর আমি কাউকে চেয়ারে বসার কথা কখনোই বলতে পারিনা। এ বিষয়ে কোন প্রকার অনিয়ম বা দুর্নীতির সাথে আমি সম্পৃক্ত থাকার প্রশ্নই আসে না।