ঢাকা : পর্যটনে অপার সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় একশ গুণ। গড়ে উঠেছে নতুন নতুন পর্যটনকেন্দ্র। পর্যটন শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে দেশের অর্থনীতিতে। বাংলাদেশের নৈসর্গিক সৌন্দর্য নজর কাড়ছে বিদেশিদেরও। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবে, ২০০০ সালে দেশের অভ্যন্তরে পর্যটক ছিল ৩ থেকে ৫ লাখ। ২০১২-১৩ সালে এ সংখ্যা ছয় গুণ বেড়ে ২৫ থেকে ৩০ লাখে দাঁড়ায়। বর্তমানে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে আরও। প্রতিবছর ৯০ থেকে ৯৫ লাখ ভ্রমণপিপাশু দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ঘুরতে যান। এছাড়াও বছরে আড়াই লাখেরও বেশি বিদেশি পর্যটক আসেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সন্তুষ কুমার দেব জানান, টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে পর্যটনটাকে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। পর্যটন খাতকে সম্প্রসারিত করতে সরকার যে ভূমিকা পালন করছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
বাংলাদেশের পর্যটন খাতে আছে আরও কিছু সাফল্য। বিশ্ব পর্যটন সংস্থার কমিশন ফর সাউথ এশিয়ায় ২০২১ থেকে ২৩ মেয়াদে ভাইস চেয়ার নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়াও আটটি মুসলিম দেশের জোট ডি-এইট এর সভাপতি এখন ঢাকা। সম্প্রতি পর্যটনবান্ধব দেশের তালিকায়ও পাঁচ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।
বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো: মাহবুব আলী বলেন, পর্যটন খাত সম্প্রসারণে কাজ চলছে। এছাড়াও আশেপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে মানুষ সকালে গিয়ে রাতে যেন নিরাপদে ফিরে আসতে সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটন ও ভ্রমণ খাতের অবদান ২ দশমিক ২ শতাংশ। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ খাতে কাজ করেন ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ।
আপনার মতামত লিখুন :