• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ Jun ২০২৫, ০৭:৩২ অপরাহ্ন

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম যশোরের বাগআঁচড়া সাতমাইল পশু হাট শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে


প্রকাশের সময় : মে ৩১, ২০২৫, ৯:৪৩ অপরাহ্ন / ৫১
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম যশোরের বাগআঁচড়া সাতমাইল পশু হাট শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে

আজিজুল ইসলাম, যশোরঃ দক্ষিণ বঙ্গের সব চেয়ে বড় বাগআঁচড়া সাতমাইল পশুহাট কুরবানি ঈদের আগে মুহূর্তে জমে উঠেছে। ঈদ আসন্ন তাই শেষ মুহুর্তে কুরবানির গরু ও ছাগল কিনতে দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে বাগআঁচড়া সাত মইল পশু হাটে। এখান থেকে পাইকারী গরু ব্যবসায়ীরা শত শত গরু খরিদ করে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

ঈদুল আজহা এসে গেছে। শনি ও মঙ্গল এই দুই দিন এখানে গরু হট বসে। অনেকে কোরবানির পশু এখনো কেনেনি। তাই শনিবারের (৩১ মে) বাগআঁচড়া সাত মাইল পশু হাটের চিত্র ছিলো অন্য রকম। গরু ছাগলে ঠাসা ছিলো পশু হাট। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ভীড়ও ছিলো লক্ষনীয়। অন্যান্য দিনের তুলনায় এ হাটে অনেকগুলো গরু বিক্রী হয়েছে শনিবারের হাটে। ছাগলের বেঁচা বিক্রী অনেকটা কমে ছিলো বলে জানিয়েছেন হাট কতৃপক্ষ। তারা জানিয়েছেন সামনের মঙ্গলবার ঈদের আগের শেষ হাট। তাই এদিন সবচাইতে বেশী কোরবানির গরু ও ছাগল বেঁচা বিক্রি হবে।

ফেনি অঞ্চলের গরু ব্যবসায়ী মফিজুর রহমান জানান, অনেক বছর ধরে এই পশু হাট থেকে তিনি গরু ক্রয় করে তার এলাকায় নিয়ে বিক্রি করেন। অনেক লাভও হয় তার।

তিনি আরও জানান, এ হাটে এবার গরুর অনেক দাম হাঁকা হচ্ছে। তার জন্য গরু কেনায় সমস্যা হচ্ছে। বেপারী ও খামারিরা তাদের গরুর দাম বেশি বলায় বেচাকেনা অনেক কম। এ জন্য তিনি বেশি গরু কিনতে পারেননি এবারে।

শার্শার রুদ্রপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেন বলেন, ঈদের সময়ে একটু বেশি দাম থাকবেই সেটা আমরাও জানি। তবে তুলনামূলক ভাবে এ বছর দামটা একটু বেশি।

এদিকে খামারিরা জানান, এ বারের কুরবানির ঈদে বড় গরু বিক্রি কম হচ্ছে। সব ক্রেতারা ছোট ও মাঝারি গরুর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন বেশি। খামারের বড় গরুর চাহিদা না থাকায় এবারের করবানির ঈদে লোকসনের মুখে পড়বেন খামার মালিকরা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাক্তার তপু কুমার সাহা জানান, শার্শায় মোট ১১ শত ৩১ টি ছোট বড় খামার রয়েছে। এ সব খামারে কুরবানির জন্য ৩ হাজার ৭ শত ১০টি গরু,৯৪ টি মহিষ ও ১০ হাজার ৩১২টি ছাগল,ও ৯৪ টি ভেঁড়া,প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি বলেন, এ বছর শার্শায় কুরবানীর চাহিদা পশুর সংখ্যা ১২ হাজার ৭২৬ টি। তবে শার্শা উপজেলায় কুরবানির চাহিদা মেটানোর পর ১ হাজার ৫০০ টি পশু বাড়তি থাকায় তা বাইরের এলাকায় বিক্রি করতে পারবেন খামারিরা।

তিনি আরো বলেন, এ বছর ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ না করায় স্থানীয় খামারিরা লাভবান হবেন।