• ঢাকা
  • বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন

দীর্ঘ ৩৪ বছরেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি : পরিত্যক্ত ভবনের সংষ্কার না হওয়ায় খোলা আকাশের নিচেয় চলছে পাঠদান


প্রকাশের সময় : মার্চ ৪, ২০২৩, ৩:৫৭ অপরাহ্ন / ৭৭
দীর্ঘ ৩৪ বছরেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি : পরিত্যক্ত ভবনের সংষ্কার না হওয়ায় খোলা আকাশের নিচেয় চলছে পাঠদান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঠাকুরগাঁওঃ ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ৪৭নং টেংরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি নির্মানের ৩৪ বছরেও এটিতে হয়নি কোন সংষ্কার কাজ বা লাগেনি কোন উন্নয়নের ছোয়া। ভবনের দেয়াল এবং ছাদে ফাটল ধরায় ও জরাজীর্ণ হওয়ায় প্রায় পরিত্যক্ত ভবনে পরিনত হয়েছে এটি। তাই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের খোলা আকাশের নিচেই পাঠদান করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

সম্প্রতি ও বিগত সময়ে হরিপুর উপজেলায় বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন হলেও ৬নং ভাতুরিয়া ইউনিয়নের ৪৭নং টেংরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি রয়ে গেছে অবহেলায় আর অব্যবস্থাপনায়। ফলে দিনের পর দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে এটি। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে লেখাপড়া করে আসছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

সুত্রমতে, ১৯৮৮ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে একটি ভবন নির্মিত হয়। ভবনটি নির্মানের দীর্ঘ ৩৪ বছর পেরিয়ে গেলেও সংষ্কার বা উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি বিদ্যালয়টিতে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্লাস করতে এসে আমাদের ভয়ে আর আতঙ্কে থাকতে হয়। কখন যে উপর থেকে আস্তর খসে পড়ে। ছাদের আস্তর খসে পড়ে ভীমের রড দেখা যাচ্ছে  যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই ঝুঁকি এড়াতে আমাদের মাঠে ক্লাস করান শিক্ষকরা।

স্কুলের ৩য় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মকলেছুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়টি এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে মেয়েকে স্কুলে পাঠানোর পর বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত খুবই চিন্তিত থাকতে হয়।তাই আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিনীত অনুরোধ করছি বিদ্যালয়টিকে দ্রুত সংস্কার করার।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজালাল বলেন, বিদ্যালয়ে যোগদানের প্রায় ৩৪ বছর অতিক্রম হয়েছে। ২০১৬ সালে উপজেলা প্রকৌশলী অফিস ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছেন কিন্তু তা আজ পর্যন্ত মেরামত বা সংস্কার করার হয়নি। ভবনের নাজুক অবস্থা দেখে উপজেলা শিক্ষা বিভাগে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের নিয়ে লিখিত ও মৌখিক ভাবে আবেদন করেছি কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি। বিদ্যালয়ে এসে সব সময়ই চিন্তিত থাকি বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার।

বিদ্যালয়ের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, আমি সভাপতি হয়ে ব্যর্থ হয়েছি তা বলব না তবে আমার পূর্বেও যারা ছিলেন তারা বহু চেষ্টা করেছেন। তারপরও কোন ফলাফল আসেনি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আজিজার রহমান বলেন, ৪৭ নং টেংরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আসলেই খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বিদ্যালয়টি সংস্কারের ব্যাপারে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আশা করি দ্রুত এর সমাধান হবে।