বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকাঃ রাজধানীর দারুসসালাম থানা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটি নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। অর্থের বিনিময়ে পদে আসছে ভূমিদস্যু, বিএনপি ও বিতর্কিত অযোগ্য ও মাদকসেবীরা এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর উত্তর আ’লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের মাধ্যমে বাংলাদেশ আ’লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সাধারণ নেতা-কর্মীরা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা মহানগর উত্তর দারুসসালাম থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর থেকে আওয়ামী পরিবার ও দূর্দিনের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে প্রস্তাবিত নতুন কমিটিতে আসছে অর্থের বিনিময়ে একাধিক ভূমিদস্যু,বিএনপি ও বিতর্কিত অযোগ্য ও মাদকসেবীরা। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে বিতর্ক। বইছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আওয়ামী লীগ পরিবার,সাবেক ও প্রস্তাবিত নতুন কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা অনেক নেতাই এই কমিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি অভিযুক্ত,বিতর্কিত অযোগ্য এবং বিএনপি ও মাদকসেবী হাইব্রিডরা অনেকেই অর্থের বিনিময়ে দারুসসালাম থানা এবং ৯নং ও ১০নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত নতুন কমিটিতে পদে আসছেন। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রস্তাবিত কমিটিতে পদ প্রত্যাশি একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
দারুসসালাম থানা আওয়ামী লীগের স্ব-ঘোষিত সহ-সভাপতি ও দারুসসালাম প্রোপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্হাপনা পরিচালক ভূমিদস্যু আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে দারুসসালাম থানার ৯নং ওয়ার্ডে প্লট,ফ্ল্যাট,বাডী দখল,চাঁদাবাজি এবং নারী কেলেঙ্কারী, মাদক সেবনসহ ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও হরিরামপুর এলাকায় গরু চুরির দায়ে লাঠিপেটাসহ জরিমানা দেওয়ার অভিযোগেও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। তিনি ১৯৯৬ সালে আ’লীগ ক্ষমতায় এলে কোন সম্মেলন ছাড়াই অর্থের বিনিময়ে বাগিয়ে নেন ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পদ। পরে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের দায়ে যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃতও হন তিনি। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় এলে স্হানীয় যুবদল নেতা শাহিন ওরফে বয়রা শাহিনের মাধ্যমে বিএনপির’র একজন ভালো ডোনার হিসেবে পরিচিতি পেলেও কোন পদ নিতে পারেনি ওই দলে। ২০০৮ সালে আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি রাজনীতিতে নিষ্কিয় ছিলেন। পরবর্তিতে আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় দীর্ঘস্থায়ী হলে দারুসসালাম থানা কমিটি গঠনে দায়িত্বে থাকা মহানগর উত্তর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান মিজান, এবিএম মাজাহারুল আনাম, সদস্য আবুল হাসনাত এই তিন নেতাকে অর্থের বিনিময়ে এবং স্হানীয় এমপিকে ম্যানেজ করে থানার সভাপতি / সাধারন সম্পাদকের পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। অথচ গিয়াস উদ্দিন ওয়ার্ড বা থানা আ’লীগের কোন কমিটিতে কোন দিনও কোন সদস্য পদেও ছিলেন না ।
সম্প্রতি এক নগর নেতার জন্মদিন পালন করেছেন খুব ঘটা করে। কেক কাটা শেষে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে নাচ-গান এবং মদোৎসব অবশেষে সিনিয়র জুনিয়র হাতাহাতি। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে এলাকায। সকালে হলেই আ'লীগ রাতে জমি দখল,বিকেলে নামাজ আর সন্ধ্যায় মদ এই হলো গিয়াস উদ্দিনের মুলনীতি। গিয়াস উদ্দিনের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গত ২/৩ মাস আগে দেশের একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ভূমিদস্যু গিয়াস উদ্দিনের ভ্যানগার্ড আব্দুল কাদের যিনি খুন, ধর্ষন,ছিনতাই,চাঁদাবাজি-বোমাবাজিসহ প্রায় অর্ধশত মামলার সাথে জড়িত। রাজধানীর মিরপুর মডেল থানাসহ বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি সমাজে নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য নাম পরিবর্তন করে বর্তমানে আব্দুল কাদের থেকে হয়েছেন মাহমুদ আল কাদের। তিনি এতই দূধর্ষ ছিলেন যে সিদ্ধান্তে স্কুলে ক্লাস সেভেনে পড়া অবস্থায় হোসেন খানের গামেন্টস ডাকাতি করতে গিয়ে ১৯৮৪ সালে প্রথম ডাকাতি মামলা দিয়ে শুরু হয় তার অপরাধ জগতে পদার্পন। স্হানীয় এমপি’র সুপারিশ ও অর্থের বিনিময়ে মহানগর উত্তরের আ’লীগের সদস্য আবুল হাসনাতের মাধ্যমে প্রস্তাবিত কমিটিতে যুগ্ম-সাধারন সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নিতে বর্তমানে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
ঢাকা-১৪ আসনের এমপি’র ভাগ্নে মানিকগঞ্জ যুবদলের নেতা মোঃ কবির চৌধুরী মিরপুর এসে হয়েছেন বড় আ’লীগ নেতা মোঃ কবির চৌধুরী মুকুল। এমপি’র ভাগ্নে হওয়ার সুবাদে তিনি সাভার থানার কাউন্দিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ম-সা:সম্পাদক পদটি বাগিয়ে নেয়। এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এমপি’র নির্দেশে ভাগ্নে কবির চৌধুরী বিএনপি’র সাইফুল খানের পক্ষে নির্বাচন করে বাংলাদেশ আ’লীগ মনোনীত চেয়াম্যান প্রার্থী মেছের আলীকে পরাজিত করে ভাইরাল হয়েছেন। তিনি আবার মহানগর উত্তর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান মিজান ও সদস্য আবুল হাসনাতের মাধ্যমে প্রস্তাবিত কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পাওয়ার জন্য জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন। মানিকগঞ্জ জেলা শাখার জাতীয়তাবাদী যুবদলের কমিটিতে ৩২ নং সদস্য পদে মোঃ কবির চৌধুরীর নামটা রয়েছে।
ঢাকা-১৪ আসনের এমপি’র বড় জামাতা মোঃ মাজারুল হক এই থানায় রাজনৈতিক ভাবে আ’লীগ বা কোন অঙ্গ সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন না। রাজনৈতিক অঙ্গনে সম্পূর্ণ অপরিচিত মূখ। শশুর এমপি হওয়ার সুবাদে মহানগর উত্তর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান মিজান ও সদস্য আবুল হাসনাতের মাধ্যমে প্রস্তাবিত কমিটিতে স্বাস্হ্য ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক পদে স্হান করে নেয়।
মজিবুর রহমান টিটু তার নিজ এলাকা ময়মনসিংহে ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামী। ২০০৬ সালে মহানগর উত্তর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম মাজাহারুল আনামের বডিগার্ড হিসেবে যোগদান করেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে বর্তমান তিনি এবিএম মাজাহারুল আনামের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পরিচিত। সেই সুবাদে তিনি প্রস্তাবিত কমিটিতে দপ্তর সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে স্হান করে নেয়। তিনি এর আগে কোন কমিটিতে কোন সদস্য পদও বহন করেননি।লালকুঠি বাজার এলাকায় ২৯/ এ নং বাডীতে কোটি টাকা মূল্যের নিজ ফ্ল্যাটে থাকেন। উল্লেখ্য বিএনপি সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট মন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর তার বিয়ের উকিল বাবা।
কাজী করিম রেজা এক সময় ছাত্রলীগ করতেন। তিনি ১৯৯৭ সালের পরে রাজনীতিতে নিষ্কিয় হয়ে পড়েন। ২০০৩ সালে চাঁদাবাজির টাকাসহ মাজার রোডে বেবু’র মার্কেটের সামনে থেকে র্যাবের হাতে ধরা পড়েন। ২০০৯ সালেও তিনি আবার নারী ঘটিত মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। এলাকায় মাদকসেবী হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে তার। অর্থের বিনিময় মহানগর উত্তর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান মিজানের মাধ্যমে প্রস্তাবিত কমিটিতে প্রচার সম্পাদক পদ বাগিয়ে নিতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
অপর দিকে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম অর্থের বিনিময়ে মহানগর উত্তর আ’লীগের সদস্য আবুল হাসনাতের মাধ্যমে প্রস্তাবিত কমিটিতে স্হান করে নেয়। ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির একটা কমিটিতে ৫নং যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পদে নজরুল ইসলামের নাম এখনো রয়েছে।
এক সময়ের ছাত্রনেতা সাজেদুর রহমান রাসেল। তিনি কিশোর গ্যাংয়ের নেতা যুবদলের চিহ্নিত সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামী ১ম কলোনীর পটেটো রুবেলের গডফাদার। তার নেতৃত্বে প্রথম কলোনী শাহ আলী স্কুল রোডে আমেরিকান প্রবাসী বন্ধু আতিকের বাসায় বিএনপির লোকজন নিয়ে সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে মদ,গাজাঁ ও ইয়াবা সেবন এবং তাসের আড্ডা। এলাকায় মাদকসেবী হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে তার। তিনি এখন ১০নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি পদ পেতে অর্থের বিনিময়ে মহানগর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান মিজানের মাধ্যমে প্রস্তাবিত কমিটিতে স্হান করে নেয়।
মাহমুদুর রহমান রাসেল ভূমিদস্যু গিয়াস উদ্দিনের একজন বিশস্থ ভ্যানগার্ড এক সময় যুবলীগ করতেন। তিনি দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। চাকুরী বা ব্যবসা কোনটাই তিনি করেন না। দিনের বেলা গিয়াস উদ্দিনকে পাহারা দেওয়া আর সন্ধ্যার পর মাদকের নেশা ছাড়া কোন কাজ নেই তার।ফেন্সিখোর হিসাবেও এলাকায় যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। গিয়াস উদ্দিন অর্থের বিনিময়ে মহানগর উত্তর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মে: মিজানুর রহমান, এবিএম মাজাহারুল আনাম ও সদস্য আবুল হাসনাতের মাধ্যমে ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি পদে প্রস্তাবিত কমিটিতে স্হান করে নেয়।
এ বিষয়ে থানার একাধিক নেতাকর্মীরা এ প্রতিবেদককে বলেন, দুর্বল কমিটি হচ্ছে। সঠিক ভাবে ত্যাগী ও দুর্দিনের নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। এতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমন ব্যক্তিদের স্থান দেওয়া হচ্ছে যাদের দ্বারা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা এক সময় নির্যাতিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। এতে আমরা ক্ষুব্ধ আমরা।
তারা আরো বলেন, দূর্দিনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের দূরে ঠেলে দিয়ে জীবনে কখনো জয় বাংলা বলেনি এমন বিতর্কিত লোক জনকে কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হচ্ছে যার ফলে অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত হচ্ছেন।
কমিটিতে জায়গা না পাওয়া অনেক নেতার পাশাপাশি সর্বশেষ কমিটিতে থাকা একাধিক নেতা নতুন এই কমিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং প্রশ্ন তুলেছেন দুর্দিনের ত্যাগী ও আওয়ামীলীগ পরিবারের একাধিক নেতাকর্মীরা। তারা আরো বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের ডোপ টেষ্ট করে নেওয়ার জোর দাবী জানাই আমরা। তারা আরো বলেন, আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন কাউকে নেতা বানানোর আগে তার পরিবারের খোঁজ নিন। অথচ এ নিয়ম মানা হচ্ছে না।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রত্যেক কর্মী ও প্রতিনিধি সভায় হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, কোন ভূমিদস্যু,দখলবাজ,হাইব্রীড এবং অযোগ্য বিতর্কিতদের কমিটিতে স্হান দেওয়া হবে না।
দারুসসালাম থানার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ওই তিন নেতা কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আ’লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মানছেন ? না কি তাদের পকেট ভারী করার জন্য অয়োগ্য বিতর্কিতদের কমিটিতে স্হান দেওয়ার উল্লাসে মেতে উঠেছেন ? নেতাকর্মীরা ওই তিন নেতাদের কাছে জানতে চায়। দারুসসালাম থানা ও ওয়ার্ডের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা অর্থের বিনিময়ে ভূমিদস্যু, বিএনপি,হাইব্রীড এবং মাদকসেবী বিতর্কিত অযোগ্য ব্যক্তিদের কমিটিতে স্হান না দিয়ে পূনরায় যাচাই-বাছাই পূর্বক দূর্দিনের আওয়ামী পরিবারের যোগ্য নেতাদের সমন্বয়ে কমিটি দেওয়ার জন্য ঢাকা মহানগর উত্তর আ’লীগের সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আ’লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ বজলুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ০১৮১৯-২৩৮৯৪২ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এমন অভিযোগ আমার কাছেও এসেছে। আমরা কমিটি হাতে পেলে অবশ্যই যাচাই বাছাই করে দেখবো। তিনি আরো বলেন, কোন মাদকসেবী, বিএনপি থেকে অনুপ্রবেশকারীকে দলে অন্তরভুক্ত করা হবে না বা কোন কমিটিতেও রাখা হবে না।
এ ব্যাপারে এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারন সম্পাদক এস এম মান্নান কচির ব্যবহৃত মোবাইল ০১৭১১-৮০৭৬০৫ নম্বরে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
দারুসসালাম থানা ও ওয়ার্ডের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা অর্থের বিনিময়ে ভূমিদস্যু,বিএনপি, হাইব্রীড এবং মাদকসেবীসহ বিতর্কিত অযোগ্য ব্যক্তিদের কমিটিতে স্হান না দিয়ে পূনরায় যাচাই-বাছাই পূর্বক দূর্দিনের আওয়ামী পরিবারের যোগ্য নেতাদের সমন্বয়ে কমিটি দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আ’লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।