• ঢাকা
  • সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন

দলীয় কোন্দলে বিত্রনপির কর্মীদের উপর হত্যা মামলা


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪, ২:২৮ অপরাহ্ন / ১৫
দলীয় কোন্দলে বিত্রনপির কর্মীদের উপর হত্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা হাসান ফকির। তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে অভিজ্ঞ হাসান ভালো একটি কোম্পানির কাজ নিয়ে ১০ বছর আগে চলে যান দক্ষিণ কোরিয়া। দশ বছর বিদেশ কাটিয়ে সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরেন। দেশে এসে শুরু করেন ইন্টারনেট ব্যবসা। নিজ মেধার গুনে পরিবার আর্থিক সচ্ছলতা ও নিয়ে আসেন তিনি। কিন্ত এ সব কিছুই কাল হয়ে দাড়ায় হাসেনের।

গত ২৮/০৫/২০১৯ তারিখ রাতে পূর্ব শক্রুতার জেরে তারাই প্রতিবেশী একদল বখাটে যুবকদের নিয়ে রামদা ও চাকুদিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় ওরা ভেবেছিল তিনি মারা গেছেন। আল্লাহ পাকে ইচ্ছায় রাজধানীর সিটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে যান। এতে তার চল্লিশ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যান। এরই ধারাবাহিকতায় আমি ৩২৬ ধারার একটি সামালা ধায়ের করি গোপালগঞ্জ সদর থানায় । আসামী করা হয় একই গ্রামের ফিরোজ ফকিরের ছেলে সবুজ ফকির সহ দশজনকে আসামী ও অজ্ঞাত আরো ও কয়েকজন । হত্যা চেষ্টায় একটি মামলা ধায়ের কথা হয় বাদী রবিউল ফকিরের বড় ভাই হাসান ফকির জানান আমাকে মেরে ফেলায় উদ্দেশ্যে বাদে খাগাইল আনুমানিক রাত আটটায় আকিনের আখতাব ঠাকুরের বসতস্থান বাড়ির দক্ষিণ পাশের রাস্তায় সবুজ ফকির গং আমাকে মেরে ফেলায় উদ্দেশ্যে ১২৬ টি কোপ দেয় শরীরের বিভিন্ন স্থানে । যখন আমি রক্তাত্ব অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকি তখন সবুজ ফকির গং মনে করে যে আমি মারা গেছি । এরপর এলাকাবাসী আমাকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রিফাউ করে । দশ দিন চিকিৎসা পরে আমার পরিবার আমাকে বাচাতে নিস্ব হয়ে গেছে । এই মামলায় পুলিশের ধরপাক শুরু করে গ্রাম যখন উওেজিত হয়ে যায় ঠিক তখন একই গ্রামের খসরুল আলম ফকির ০৭-০৮-২০২০ তারিখ অনুমান ১.৪৫ মিনিট । ভেড়ার বাজার জামে মসজিদের দক্ষিণ পাশে গ্রাম্য ডাঃ মৃত নান্নু কাজীর দোকানের পাশে খুন হয় । খুন হওয়ার পরে গোপালগঞ্জ সদর থানায় ০৯/০৮/২০২০ তারিখে আমি হাসান ফকির সহ আমার চাচতো ভাই সহ সাত জনকে এই মামলায় আসামী করেন । তিনি আরোও বলেন আমার এই মামলা কে দূর্বল করার জন্য এই নাটক সাজানো হয় । গোপালগঞ্জ সদরের হরিদাসপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী । এরা আওয়ামীলীগের নেতা থাকার কারণে আমরা দার্ঘদিন গ্রামে বসবাস করতে পারি নায় । রবিউল ফকির বলেন আমরা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বিএনপিকে পরিবারের সন্তান আমার পিতা সহ আমরা শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শ সৈনিক এই সমস্যাটা নিয়ে আমাদের কে তারা আমার ভাই হাসান ফকিরকে কুপিয়ে জখম করে । গ্রাম ছাড়া করেন এবং আমাদের কে হত্যা মামলার আসামী করেন । তিনি আরো বলেন যে যখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে স্বাধীন হয়েছে তাই আমাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাটি বৈষম্য না রেখে পূর্ণরায় তদন্ত করার জোর আবেদন করছি । যাহা তদন্ত করে আমাদেরকে আসামী করছে আমরা বিএনপি পরিবার বলে বৈষম্যের স্বীকার হয়েছি ।