• ঢাকা
  • বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯ অপরাহ্ন

তিনদিনে পাল্টে যাবে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের বসার স্থান কমিশনার


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২, ২০২৩, ৯:৫৫ অপরাহ্ন / ৬০
তিনদিনে পাল্টে যাবে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের বসার স্থান কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ জনাকীর্ণ কক্ষ। যেখানে দীর্ঘদিন ছিল না কোনো ব্যবস্থাপনা। যেকোনো ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকরা সংবাদ লিখতে বিড়ম্বনায় পড়তেন। কারণ রুমের কম্পিউটার, এসি, সোফা ব্যবহার অনুপযোগী ছিল। গণমাধ্যমকর্মীরা বিগত কমিশনারসহ ঊধ্বর্তনদের অবহিত করলেও তারা কর্ণপাত করেননি। শনিবার ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন হাবিবুর রহমান। দায়িত্ব গ্রহণের পর সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে সংবাদ ব্রিফিংয়ে আসেন তিনি। এরপর গণমাধ্যমকর্মীরা ডিএমপি কমিশনারকে মিডিয়া সেন্টারের অব্যবস্থাপনা তুলে ধরেন। তাৎক্ষণিক কমিশনার নির্দেশ দেন তিনদিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করতে হবে।

জানা গেছে, দশবছর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তৎকালীন কমিশনার মিডিয়া সেন্টারে দুটি কম্পিউটার, বসার জায়গায় সোফা ও এসি সংযুক্ত করেছিলেল। তবে গত ১০ বছরে ধীরে ধীরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পতিত হয় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের কক্ষটি।

এদিকে নতুন কমিশনার হিসেবে আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ‘মিট দ্য প্রেস’ শেষে সাংবাদিকদের বসার জায়গা পরিদর্শন করে নতুন করে সবকিছু স্থাপনের নির্দেশ দেন হাবিবুর রহমান।

পরিদর্শনে সাংবাদিকদের কাছে তিনি জানতে চান- কয়দিনের মধ্যে বদল চান এই অবস্থার? সাংবাদিকরা জানান, সাতদিনের মধ্যে বদল চান তারা। এর প্রেক্ষিতে হাবিবুর রহমান প্রতিশ্রুতি দেন, সাতদিন নয়,
তিনদিনে বদলে যাবে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের সাংবাদিকদের বসার জায়গা।

তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ডিসি মিডিয়া ও ডিসি লজিস্টিককে ডেকে একটি এসি, দুটি নতুন আপডেটেড কম্পিউটার, নতুন সোফা ও টেবিল চেয়ার স্থাপনের নির্দেশ দেন। তার এমন ঘোষণায় গণমাধ্যমকর্মীরা তাৎক্ষণিক কমিশনারকে ধন্যবাদ জানান।

নবনিযুক্ত কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, যেকোনো জায়গায় পরিবর্তন দরকার হলে আগে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। সচেতনতা ও অপরাধ দমনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অপরাধবিয়ষক সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে ডিএমপি’তে আসতে হয়। মিডিয়া সেন্টারে বসতে হয়। এখানকার পরিবেশ জন ও সাংবাদিকবান্ধব হওয়া উচিত।

এর আগে ৩৬তম কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেই রাজারবাগে ফোর্সদের ব্যারাকে যান ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। সরেজমিনের তিনি সদস্যদের থাকার জায়গা, রান্না ঘর, বাথরুম, জিমনেসিয়াম পরিদর্শন করেন। তাৎক্ষণিক তিনি সদস্যদের থাকা-খাওয়ার সমস্যা সমাধানে নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি খাবারের তালিকায় মৌসুমী ফল পরিবেশনের নির্দেশ দেন।