• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন

তিতাসে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাংবাদিক দ্বীন ইসলাম সাগর


প্রকাশের সময় : জুন ৭, ২০২৩, ৫:৪৪ অপরাহ্ন / ৫৩
তিতাসে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাংবাদিক দ্বীন ইসলাম সাগর

নিজস্ব প্রতিবেদক, তিতাস, কুমিল্লাঃ কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় চাচা শ্বশুরের সাথে গৃহবধুর অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের ঘটনার সংবাদ প্রকাশের জের ধরে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে আদালতে নিজের স্বামী সহ তার নিকটতম আত্মীয়দের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামলায় অভিযুক্ত “দৈনিক বঙ্গ টিভি” ও দৈনিক স্বপ্নের বাংলাদেশ পত্রিকার তিতাস উপজেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ দ্বীন ইসলাম সাগর।

বুধবার সকালে উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামে সাংবাদিক দ্বীন ইসলাম সাগরের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষে তিনি এই মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।

মামলায় অভিযুক্ত সাংবাদিক দ্বীন ইসলাম সাগর মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, আমি একজন সাংবাদিক, সমাজের অন্যায় অপরাধ-অনিয়ম দূর্নীতির সংবাদ সঠিক তথ্যের মাধ্যমে সংবাদপত্রে তুলে ধরাই আমার কাজ। গত ২৭/০৭/২০২৩ ইং আমার নিকটতম আত্মীয় উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মূছা মিয়ার পুত্র সবুজ আহাম্মেদ এর স্ত্রী আমেনা আক্তার (২৩) বাদী হয়ে আমার নামে ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ০৩ ধারা ও পর্ণোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮ (১) (২) (৩) (৪) ধারা অনুযায়ী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা এবং ভুল তথ্য বিবরণী দিয়ে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং: সি.আর- ৩২৬/২০২৩ দাউদকান্দি। এ মামলায় তার স্বামী সবুজ আহম্মেদ কে ১ নং আসামী করে তার নিকটতম আত্মীয়দের মধ্যে থেকে আরও ৩ জনকে অভিযুক্ত করে এই মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় আমাকে ৪ নং আসামী করা হয়েছে, সবুজ আহম্মেদ আমার সম্পর্কে বিয়াই হয়। সে দুবাই প্রবাসী, তার স্ত্রী আমেনা আক্তার সবুজের গ্রামের বাড়িতেই থাকতো। বাড়িতে থাকাকালীন সবুজের চাচা শাহপরানের সাথে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় আমেনা। এ নিয়ে আমেনা ও শাহপরান এর পরিবারকে সবুজের বাবা মূসা মিয়া ঘটনাটি জানায়। পরে এ নিয়ে শাহপরানের পরিবার ও আমেনার পরিবারের সাথে জামেলা হয় সবুজের বাবা মূসা মিয়ার। এ ঘটনা কে কেন্দ্র করে সবুজের বাবা মূসা মিয়াকে মারধর করে সবুজের চাচা শাহাপরান এমন ঘটনার অভিযোগ এনে তিতাস থানায় সবুজের আপন ছোট ভাই আহসান হাবীব বাদী হয়ে তার পরিবারকে অত্যাচার করছে শাহপরানের পরবিবার এই সূত্রে একটি মামলাও দায়ের করেন সবুজের পরিবার, যা বর্তমান আদালতে চলমান। পরে সবুজের স্ত্রী আমেনার ব্যাপারে বাদী হয়ে সবুজের বাবা মূসা মিয়া আরেকটি মামলা করেন আদালতে। পরে কে বা কারা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে শাহপরান ও আমেনার কিছু ছবি পোষ্ট করে ভাইরাল করে দেয়। এই রকম চাঞ্চল্যকর সম্পর্কের ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে গ্রামের স্থানীয় সচেতন মহলের মাঝে নানা আলোচনা সমালোচনা তৈরি হয়। পরে এ ঘটনা উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিকরা জানতে পেরে তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ করে। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয় কিন্তু সবুজ আহাম্মেদ আমার নিকটতম আত্মীয় হওয়ায় এবং আমাদের বাড়ি একই গ্রামে হওয়াতে আমি এ ব্যাপারে কোন রকম সংবাদ প্রকাশ করিনি। এ ঘটনাকে কেন্দ্রে করে এলাকায় সামাজিক বিচার শালিসও বসে। পরে জানতে পেলাম সামাজিক ভাবে বিষয়টির সমাধান হয়নি। সবুজের সাথে আমার এ বিষয় নিয়ে কোন রকম যোগাযোগ বা কথা হয়নি। এর কিছুদিন পর তার স্ত্রী আমেনা সবুজ সহ আমাকে জড়িয়ে মোট চারজনকে আসামী করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। সবুজের স্ত্রী আমেনা মামলায় আমার বিষয়ে অভিযোগ এনে বলেন আমার সাথে সবুজ যোগাযোগ করে পরামর্শ নিয়ে তাকে নাকি সংসার ছাড়া করতে চায় আমি নাকি পথিক টিভিসহ বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে তার অনৈতিক কর্মকান্ডের চিত্র ভাইরাল করেছি তা সম্পূর্ণ বানোয়াট আর মিথ্যা সবুজ আমার কাছের আত্মীয় তাই আমাকে আজ এ মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করেছে।

পথিক টিভি নামে কোন টিভি চ্যানেলের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই এবং মামলায় তিনি যে তার অনৈতিক সম্পর্কের ছবি ফেইসবুকে বিভিন্ন আইডি দ্বারা প্রচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছে তার কোনটার সাথেই আমার সম্পর্ক নেই।

এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট এবং ভূল তথ্য দিয়েছে। সবুজের স্ত্রী আমেনা সমাজের খারাপ লোকদের পরামর্শে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে অতি উৎসাহী হয়ে নিজ স্বার্থ হাসিল করার লক্ষ্যে আমার নামে এ মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
আমি এই মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই এবং এ মামলা থেকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সকলকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।