নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ তাযকিয়াতুল উম্মাহ হিফয মাদ্রাসার বার্ষিক পুরস্কার বিতরন ও সবক প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তাযকিয়াতুল উম্মাহ হিফয মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মাওলানা মাহদী হাসান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন তাযকিয়াতুল উম্মাহ হিফয মাদ্রাসার কালচারাল শিক্ষক মো: ইমরান হোসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবাদুল হক পলাশ, তাযকিয়াতুল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেখ ফিরোজুল হক, বেদগ্রাম রেলগেইট মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি গাউসুর রহমান ফয়েজী, বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার কাহালপুর মাদ্রাসার দা: বা: ও গোপালগঞ্জ মিয়াপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব হাফেজ মাওলানা মুফতী মঈনুল ইসলাম, পাওয়ার হাউজ জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক দা: বা:, সাংবাদিক এম, টি, রহমান মাহমুদ, হাফেজ মাওলানা জি এম হাসান মাহমুদ, হাফেজ মাওলানা হাফিজুর রহমান, হাফেজ মাওলানা হামিম, হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমান, হাফেজ মাওলানা ওমর ফারুক, হাফেজ মাওলানা মাজহারুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মিয়াপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি আহম্মদ আলী কাজী বাচ্চু। অনুষ্ঠানে বক্তারা শিশুদের মেধা বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নসীহা দেন। সকলের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। বক্তারা বলেন, এখানে অনেক সম্ভাবনাময় ছাত্র- ছাত্রী রয়েছে, যারা দ্বীন ইসলামকে উচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত করবে এবং দেশের খেদমতে নিজেকে সামিল রাখবে ইনশাআল্লাহ! আপনারা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান ও মহান আল্লাহর অশেষ নিয়ামত। আপনারা বড় হয়ে বাবা মায়ের খেদমত করবেন, তাদের দোয়া থাকলে পৃথিবীতে কোন অসুবিধা হবে না। জাতির জনক এর স্বপ্ন ছিলো বাচ্চারা কোরআন শিখবে সুশিক্ষায় শিখিত হয়ে আদর্শ মানুষ হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় মডেল মসজিদ ও উপজেলায় মসজিদ করে বিশ্বের দরবারে প্রশংসার দাবিদার। অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন নাঈম উদ্দিন আহমেদ, ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন হামিম আবদুল্লাহ। হাফেজ তাসফিকুর রহমান ইংরেজিতে অতিথিদের জন্য তার বক্তব্য প্রদান করে সকলের মন জয় করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে কায়দা থেকে আমপাড়ায় পৌঁছানো সকল শিক্ষার্থীর জন্য দোয়া চাওয়া হয়। উক্ত প্রতিষ্ঠানে শিশুদের শুদ্ধভাবে কুরআন তেলওয়াত শিক্ষা দেওয়া এবং শরিয়ত মোতাবেক সকল শিক্ষা প্রদান করা হয়। আমরা আরবি ভাষার পাশে বাংলা শিক্ষা দিয়ে থাকি। সবচেয়ে বড় কথা আপনার সন্তান মানুষের মত মানুষ হয়ে সমাজে আদর্শবান মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবে। দু’আ পরিচালনা করেন প্রধান বক্তা খুলনার ফুলতলার তাযজীমুল কুরআন একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ মাওলানা মুফতি জাকির আশরাফী।
আপনার মতামত লিখুন :