এম রাসেল সরকারঃ ঢাকা মহানগর আ.লীগ ইতিহাস সৃষ্টি করেছে মেয়র হানিফের জীবনের বিনিময়ে বাংলার মেহনতী মানুষের জন্য, আওয়ামী রাজনীতির জন্য কাণ্ডারী হয়েছেন শেখ হাসিনা। মেয়র হানিফ হয়েছেন ইতিহাসের অংশ। স্বার্থ নিয়ে রাজনীতি স্বচ্ছ হতে পারে না, লোভ লালশা আপনার রাজনৈতিক জীবনকে পরিপুর্ণতা দিতে পারে না। রাজনীতি ভোগের সামগ্রী হলে, ত্যাগের মহিমান্বিত আশা করা যায় না। মহানগর আওয়ামী লীগকে দুইভাগ করা হয়েছিলো সাংগঠনিক শক্তি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে। আলহাজ্ব রহমতুল্লাহ এমপি ও আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপির মাধ্যমে। ঢাকার মাটির সাথে সম্পর্ক যুক্ত, অর্থনীতির স্বচ্ছলতা নিয়ে এগিয়ে এসেছিলে ঢাকা উত্তরের ৮ এমপি। ঐক্য ছিলো কমিটি গঠনে, এখনো চলছে ঢাকা সেই কমিটি দিয়ে। অতি সন্যাসীতে গাজা নষ্ট।
অতি কমিটিতে রাজনীতি নষ্ট প্রমান করছে, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। গত ২৮ আগস্ট সোমবার জাতীয় শোক দিবস কে সফল করার লক্ষ্যে তেজগাঁও নিজস্ব কার্যালয়ে সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রকাশ্য কমিটি বানিজ্যের বাক পিণ্ডতায় জড়িয়ে পড়ে। সভাপতির বউকে দিয়ে কমিটি বানিজ্য করেন। এতো নিলজ্জ চরিত্র হরন মহানগর আওয়ামী লীগের ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। সাধারণ সম্পাদক নাকি গুণ্ডা বাহিনীর মাধ্যমে কমিটি বানিজ্য করেছে। মুল কথা হলো সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানাকে নিয়ে। ইউনিট আওয়ামী লীগ কমিটি গঠনে ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তিনি। টার্গেট করা হয় অর্থশালী ও কাউন্সিলর দের কে। ঢাকায় ফ্ল্যাট গাড়ী, গ্রামের জমি বাড়ী অর্থ ভাণ্ডারের সন্ধানে নেতাকর্মীরা হকচকিয়ে। এই চাটুকার সভাপতি বিপত্নী হওয়ার অভাব পুরণ করে দিয়েছেন, শুনা কথা একটি ফ্ল্যাটের বিনিময়ে।
প্রতি মুহূর্তে, সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দ্বন্দ্বের কারণ, আজিজুল হক রানার রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খা। কচির প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেন রানা এই কাজে সহায়তা করেন সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। দীর্ঘদিনের সে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয় ২৮ আগস্ট। দলীয় সিদ্ধান্ত, চেয়ারম্যান কাউন্সিলর, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক হতে পারবে না। রানা দলের সব সিদ্ধান্তের কোনো তোয়াক্কা করেন নাই। কমিটি দিতে পারবেন না, জেনেও কমিটি বানিজ্যের জন্য কাউন্সিলর ও অর্থশালীদের বেছে নিয়েছিলেন, সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশি দের কে, মোহাম্মদপুর ছিলো অভয়ারণ্য। কচির ভাই কাউন্সিলর হওয়াতে মিরপুরে একচেটিয়া সুযোগ নিয়েছে।
হিসেবের গড়মিলের, কমিটি বানিজ্যে আজিজুল হক রানা ছিলো অপ্রতিরোদ্ধ, অদ্বিতীয়। ভাগের অংশ হতে, সভাপতির অংশ পুরণ করলেও সাধারণ সম্পাদকের অংশ ছিলো অপুরণীয়। দ্বন্দ্বের মুল কারণ, ইচ্ছে করলে লুকাতে পারেননি। ওয়ার্ড, থানা আওয়ামী লীগ নেতাদের কে সাবেক করে রাখা হয়েছে। ইউনিট আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যেও বানিজ্য হচ্ছে বলে অনেকের ধারণা। প্রতিটি সভার আগে, সভাপতির পক্ষ থেকে আজিজুল হক রানা বক্তব্যের তালিকা নির্ধারণ করেন।
সাধারন সম্পাদকের পক্ষের লোকটা কমিটি থেকে চিহ্নিত করা যায় নাই। অনেকের ধারণা, কমিটির বাহির থেকে কেউ সহায়তা করে। রাজনীতির ইতিহাস কি নতুন করে লেখতে হবে? কচি গোপালগঞ্জ থেকে আবিস্কার, ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে। দুঃসময়ের রাজপথের নেতা, মজিব আদর্শে গড়া। বজলু ২১ আগস্ট গ্রেনেট হামলায় আহত পুঁজিতে।শেখ হাসিনা বিশ্বাস করবেন, কাকে? নব্ব, কাউয়া, বিএনপি জামাত থেকে আগতদের চাইতে খারাপ নজির সৃষ্টি করলেন।
সিলেটের টাকাওলা কমিটি বাদ দিয়ে পরিক্ষিতদের যুক্ত করেছন নেত্রী। তারপরেও কমিটি বানিজ্যের স্বাদ মিটলো না? চরিত্রহীন নষ্ট, অর্থলোভী, ব্যাক্তিত্বহীনদের দিয়ে মুজিব আদর্শ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কমিটি বানিজ্যে আর নয়।