নিজস্ব প্রতিবেদক, দোহার, ঢাকাঃ ঢাকার দোহার উপজেলার দোহার খালপাড় এলাকায় আমেনা আক্তার (১৮) নামে দুইমাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সে উপজেলার কাজিরচর এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে। সাত ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট আমেনা। এ বিষয়ে আমেনার বাবা সিদ্দিকুর রহমান দোহার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
হত্যার অভিযোগ করে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দেড় বছর আগে দোহার খালপাড় এলাকার পাঞ্জু হাওলাদারের সাথে সম্পর্ক করে মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আমেনার শশুরবাড়ির লোকজন তাকে ভালো চোখে দেখতেন না। এনিয়ে আমেনাকে একাধিকবার শারীরিক নির্যাতন করেন তারা। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে আমেনার শশুর খারাপ ইঙ্গিত দিতেন। এনিয়ে গত ১৫ ই সেপ্টেম্বর বিকেল তিনটার দিকে আমেনার সাথে ঝগড়া হয়।
এর একপর্যায়ে তার স্বামী পাঞ্জু, শশুর খবির, শাশুড়ি ফাতেমা ও ননদ আমেনা বেগম মিলে নির্যাতন করে। নির্যাতনের সময় আমার মেয়ের পেটে বারবার লাথি দিলে গুরুতর আহত হয়। অবস্থার অবনতি হলে ফাঁসির নাটক সাজিয়ে দোহার সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় শশুরবাড়ির লোকজন। সেখানে গিয়ে আমার মেয়ের গলায় কোন ফাসির চিহ্ন পাইনি।
মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমেনা মারা যায়। তিনি আরও বলেন, ওরা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।
ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেশীরা জানান, ঘটনার পর থেকে আমেনার শশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। নিহত আমেনার স্বামী পাঞ্জুর মোবাইলে একাধিক ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, আমেনা আক্তারের মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। নিহতের লাশের ময়না তদন্ত শেষ হয়েছে। রিপোর্ট পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।