কে এম সাইফুর রহমান, গোপালগঞ্জঃ তীব্র শীত ও শৈত্যপ্রবাহে সারা দেশের মানুষ যখন শীতের দাপটে যুবুথুবু অবস্থায় বেসামাল। তার ওপর বৃষ্টি যেন মরার ওপর খাড়ার ঘা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে হতদরিদ্র আজিজুল হক শেখ যেন এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা। শীত চলে যাবে ভেবে আর শীতের প্রকোপ মোকাবেলায় তেমন মাথা ঘামাননি তিনি। এমনিতেই সংসারের দৈনন্দিন চাহিদা মিটাতেই হিমশিম খেতে হয় তাকে। তার ওপর নতুন করে শীতের কাপড়-চোপড় ও শীতবস্ত্র আর কেনা হয়ে ওঠেনি তার। তাই সকল লাজ- লজ্জা ভুলে গিয়ে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের নিকট একটি কম্বল দাবি করেন তিনি। তার এই ক্ষুদ্র চাওয়াটি মানবিক এক সাংবাদিক মুঠোফোনে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট পৌঁছে দেন। মুহূর্তেই জেলা প্রশাসক বিষয়টি অবহিত হয়ে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফ হোসেনকে অসহায় ব্যক্তিটির নিকট একটি কম্বল পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে সহকারী কমিশনার সেই গণমাধ্যমকর্মীর মাধ্যমে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে হতদরিদ্র আজিজুল হক শেখের হাতে সরাসরি কম্বলটি পৌঁছে দেন। সাধারণ ফল বিক্রেতা অসহায় আজিজুল হক শেখ কম্বলটি হাতে পেয়ে জেলা প্রশাসককে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলেননি। সেই গণমাধ্যমকর্মীর মাধ্যমে অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। সেই সাথে তিনি তার ৫ কন্যার মধ্যে বড় তিন কন্যাকে এসএসসি পাস করিয়ে বিবাহ দিয়েছেন এবং ছোট দুই কন্যা যারা অর্থাভাবে এখনো ৮ম শ্রেণিতে এবং ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারেনি। জেলা প্রশাসনের তহবিল থেকে যদি কিছু আর্থিক সহায়তা জোটে তাহলেই তাদেরকে ভর্তি করাতে পারবেন এবং তিনি ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসকের নিকট কিছু আর্থিক সহায়তা চেয়ে একটি মানবিক আবেদন পত্র জমা দিয়েছেন। হয়তোবা মানবিক জেলা প্রশাসক মহোদয় বিষয়টি বিবেচনায় নিবেন।
এই তীব্র শীতের প্রকোপ থেকে অসহায় দরিদ্রদের বাঁচাতে আমরা সকলেই যে যার অবস্থানে রয়েছি সেখান থেকে তাদেরকে সাহায্য করতে পারি। আমার, আপনার ব্যবহৃত পুরনো কাপড়- চোপড় শীতবস্ত্র রয়েছে সেগুলো আমরা হতদরিদ্র ও অসহায়দের মাঝে বিতরণ করলেই তারা অনেক উপকৃত হবেন।
পরিশেষে বলতে চাই সবার ওপরে মনুষত্ব, তাহার ওপরে নাই। জয় হোক মানবতার, পরাজয় হোক হিংসা-বিদ্বেষ এর।
আপনার মতামত লিখুন :