• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন

টিটো মিয়া শখের বশে গড়ে তুলেছেন নারিকেল বাগান


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২১, ২০২৫, ৪:৪৪ অপরাহ্ন / ২৮
টিটো মিয়া শখের বশে গড়ে তুলেছেন নারিকেল বাগান

নিজস্ব প্রতিবেদক, মাগুরাঃ শখের বশে নারিকেল বাগান গড়ে তুলেছেন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বরালিদাহ গ্রামের মো. টিটো মিয়া। ৩০ শতক জমিতে গড়ে তুলেছেন তার এ শখের বাগান। তার এ বাগানে ১৩২টি ভিয়েতনামী জাতের নারিকেল গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে।

এ বাগানে শুধু নারিকেল গাছই নয়, পাশাপাশি আম রুপালি ও বারী-৪ জাতের আম গাছের চারা রোপণ করা রয়েছে। চারা রোপণের দুই বছর পূর্ণ হলেও রোপণের পরের বছর থেকেই আম গাছে ফল ধরা শুরু হলেও নারিকেল গাছে ফল ধরা শুরু হয়নি। তবে ধারণা করা যায় আগামী দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে নারিকেল গাছে ফল ধরা শুরু হবে। জেলায় তিনিই প্রথম এমন নারিকেল বাগান গড়ে তুলে ব্যাপক আলোচিত হয়েছেন। প্রতিদিন তার এ বাগান দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এসে ভিড় জমাচ্ছেন। এমনকি তার দেখাদেখি এমন বাগান গড়ে তুলতে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা, বাগান পরিচর্যার কাজে দুইজন শ্রমিক কাজ করছেন। চারা রোপণের পর থেকেই তারা বাগান পরিচর্যার কাজ করেন৷ তাদের পরিচর্যায় বাগানের গাছগুলো তরতাজা হয়ে উঠেছে। নারিকেল গাছে মুকুলের দেখা না মিললেও আমের গাছে গাছে মুকুলে ছেয়ে গেছে। বাগানের চার পাশে শক্ত জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। তাছাড়া উপজেলা কৃষি অফিস তার এ কাজে সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে আসছে।

বাগান পরিচর্যার কাজে নিয়জিত মো. আজাদ বিশ্বাস ও মনিরুল শেখ জানান, আমরা শুরু থেকেই এ বাগান দেখাশুনা করে আসছি। আমরা বাগানের গাছ গুলো যত্ন করি। এখানে কাজ করে যে মজুরি পাই, তা দিয়েই আমাদের সংসার চলে। টিটো ভাইয়ের মত যদি অনেকেই এমন উদ্যোগ নিয়ে বাগান করতো তাহলে আমাদের কাজের ব্যবস্থা হতো।

বাগান মালিক মো. টিটো মিয়া জানান, আমি শখের বশে বাগানটি করছি। এমন একটি বাগান করতে পেরে মনের কাছে খুব ভাল লাগছে। আমার বাড়িতেও ৪০ থেকে ৪২ টি নারিকেল গাছ রয়েছে। উপজেলা কৃষি মেলায় আমার গাছের বড় নারিকেল প্রদর্শন করা হয়৷ আমাদের দেশে নারিকেলের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। পাওয়াটাও অনেক কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। এ চাহিদা পূরণে আমি নারিকেল বাগান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সাথী ফল হিসেবে আম রুপালি ও বারী-৪ জাতের আমের চারা রোপণ করেছি। গাছ লাগানোর পরের বছর থেকেই আম ধরা শুরু হয়েছে। এ বছর ও প্রচুর আম পাবো। নারিকেল গাছে ফল আসা শুরু হলে তখন বাগানে শুধু নারিকেল গাছ রেখে দিবো। আমি বাগান করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ পেয়ে আসছি। আমি মনে করি বেকার যুবকদের শুধু শুধু চাকরির পেছনে না ঘুরে এমন বাগান করা উচিত।

শ্রীপুর উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী অলোক কুমার বিশ্বাস জানান, বাগান শুরুর থেকেই উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে তাকে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছি। তার এ নারিকেল গাছে ফল ধরা শুরু হয়নি। আশা করছি, আগামী দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে গাছে ফল ধরা শুরু হবে।

শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপা জানান, জেলায় তিনিই প্রথম নারিকেল বাগান গড়ে তুলেছেন। তবে গাছে এখনো ফল ধরা শুরু হয়নি। ফল ধরা শুরু হলে তিনি আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। তাছাড়া তার এ কাজে উৎসাহিত করতে উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করা হয়। তার দেখাদেখি এমন বাগান করতে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন।